Coronavirus India: করোনা ভাইরাসের ফলে চলে যেতে পারে চাকরিও!
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের জেরে হোটেল এবং এয়ারলাইন্স শিল্পের ক্ষতি
- পর্যটন শিল্পেও খারাপ প্রভাব ফেলছে এই রোগ
- যে কোনও মুহূর্তে চাকরি যেতে পারে, করা হচ্ছে আশঙ্কা
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস, রীতিমতো গোটা বিশ্বকে এলোমেলো করে দিচ্ছে এই রোগ। মারণ ভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্কে প্রায় স্তব্ধ ব্যবসায়িক লেনদেন, যার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারেও। বিনিয়োগকারীরাও আর কোনও ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে চাইছেন না, সব মিলিয়ে দুনিয়া জুড়ে আজব অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি করে দিচ্ছে এই মহামারী। ভারত সহ গোটা বিশ্ব এই বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলার (Coronavirus snd Economy) চেষ্টায় লড়াই করছে, আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চাকরির ক্ষেত্রেও। কেননা এই রোগটি (Coronavirus Outbreak) কেবল ব্যবসায় ক্ষতি করছে তা নয়, চাকরির ক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা। যে সব কর্মীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus In India) সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁদের কোয়ারান্টাইন করে রাখার পাশাপাশি তাঁদের সংস্পর্শে আসা সহকর্মীদেরও আলাদা করে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে এসে নয়, বাড়ি বসেই কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে হোটেল ব্যবসা, ট্যুর এবং ট্র্যাভেল সংস্থা এবং বিমান সংস্থাগুলি করোনা ভাইরাসের জেরে এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে তিনটি সেক্টরেই মন্দা চলছে, ফলে খুব তাড়াতাড়ি ওই সেক্টরগুলিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দ্বিতীয় মৃত্যু, মারা গেলেন ৬৮ বছরের বৃদ্ধা
ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস সেক্টের গত ২০ বছর ধরে কাজ করা জয় গানাত্রা তাঁর অধস্তন কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং নিজেও চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছেন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে তাঁর ইনক্রিমেন্টের কথা থাকলেও এখন চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি।
হোটেল এবং এয়ারলাইন্স শিল্পের ব্যবসাও প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমেছে। ব্লু স্টার এয়ার ট্র্যাভেলসের প্রধান মাধব ওঝা জানিয়েছেন যে তাঁর সংস্থায় এখনও কোনও ছাঁটাই হয়নি তবে বেতন ছাড়া বা কম বেতনে কাজ করানোর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বেঙ্গালুরু ভবন খালি করে দিচ্ছে ইনফোসিস
ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটির ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ সালে, ৪ কোটিরও বেশি লোক পর্যটন এবং আতিথেয়তা খাতে নিযুক্ত ছিলেন, যা দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৮ শতাংশ। এখন, এত বড় অঞ্চলে মন্দা দীর্ঘায়িত হলে বেকারত্বের ঝুঁকি কতটা বাড়তে পারে তা বোঝা মুশকিল নয়।
যদিও এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কারণে কোনও কর্মীর চাকরি যায়নি, তবে মনে করা হচ্ছে এই মহামারীর প্রকোপ আরও চললে ছাঁটাই হতে পারে সংস্থায়। ইতিমধ্যেই লোকসানের মুখ দেখা ব্যবসায়ীরা সরকারি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। কর ছাড়েরও আবেদন করেছেন তাঁরা।