Coronavirus in China: গত ডিসেম্বরে চিনের উহান প্রদেশ থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস
হাইলাইটস
- চিনে গত দু'দিনে নতুন করে একজন করোনা আক্রান্তেরও সন্ধান মেলেনি
- ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের ধাক্কা সামলে উঠছে ওই দেশ
- গোটা বিশ্বের সঙ্গে করোনা লড়াইয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে চায় ওই দেশ
চিন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যুদূত করোনা ভাইরাস (Coronavirus), অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে সে দেশকে 'মৃত্যুর দেশ' নামেও ডাকতে শুরু করেন অনেকে। তবে এখন বোধহয় ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে সেদেশের পরিস্থিতি। চিনের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, গত দু'দিন ধরে সেদেশে (China) নতুন করে কেউ করোনা ভাইরাসে (COVID-19) আক্রান্ত হননি। ফলে শোকের আবহেও আশার আলো দেখছে শি জিনপিংয়ের দেশ। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চিনে এই নিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩,২৪৮ জনের। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার সেদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনও নতুন খবর পাওয়া যায়নি। গত তিন মাসে COVID-19 এর বিস্তার রুখতে সবরকমের চেষ্টা করে চলেছে চিনের প্রশাসন। প্রথম দিকে কোনও লাভ না হলেও এখন দেখা যাচ্ছে আস্তে আস্তে করোনার বিস্তার রোখার চেষ্টায় সফল হচ্ছে তারা। তবে শুক্রবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন একথাও জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার সেদেশে আরও ৩৯ টি নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে ওই রোগীরা সবাই বিদেশ থেকে সেদেশে এসেছে বলে খবর।
বাড়ছে আতঙ্ক, কলকাতায় মিলল দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের সন্ধান
জানা গেছে, বর্তমানে চিনে করোনা আক্রান্ত বিদেশির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গুয়াংডং প্রদেশে ১৪ জন, সাংহাইয়ে ৮ জন, বেজিংয়ে ৬ জন এবং ফুজিয়ান প্রদেশে ৩ জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। পাশাপাশি তিয়ানজিন, লিয়াওনিং, হিলংজিয়াং, ঝিজিয়াং, শানডং, গুয়াংডং, সিজুয়ান ও গানসু প্রদেশে একজন করে বিদেশি আক্রান্ত COVID-19 সংক্রমণে।
চিনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে৷ তবে এর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে শুরুতে চরম অব্যবস্থা থাকলেও পরে নানা কাড়াকড়ি আরোপ করে চিন এখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে অনেকটাই।
তিনমাস আগে করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম স্থানীয়ভাবে নতুন করে কেউ করোনায় সংক্রমিত হয়নি বলে জানায় চিন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি আরও ৭ জন
তবে চিনের বিপদ এখনো কাটেনি ৷ লকডাউন শেষ হওয়ার পর জীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানে ৷ আটকে পড়া পর্যটকরাও ফিরতে শুরু করেছেন ৷ তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার শরীরে করোনা নিয়েই দেশে ফিরছেন ৷ হংকং ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ বেন কাউলিং বলেন, ‘‘কড়াকড়ির কারণে চিন করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে ৷ কিন্তু এই কড়াকড়ি দীর্ঘমেয়াদে থাকবে না ৷ সেক্ষেত্র দ্বিতীয় ধাক্কা আসলে কী হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে''।
এর আগে ২০০২ সাল থেকে চিনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি রোগ, সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম)। সেইসময় সার্স ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮০৯৮ জন সংক্রামিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরণের মারণ ভাইরাস।