Coronavirus: দেশে লাগাতার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তবে সুস্থতার হারও ক্রমবর্ধমান
হাইলাইটস
- দেশে লাগাতার বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
- তবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হারও
- ভারতে করোনা আক্রান্ত মোট ৩,৮০,৫৩২ জন, মারা গেছে মোট ১২,৫৭৩ জন
নয়া দিল্লি:
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে এই রোগে (India Coronavirus Cases) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৫৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্য়ান বলছে, এদেশে এখনও পর্যন্ত এই রোগে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩,৮০,৫৩২ জন, তবে তার মধ্যে চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থ হয়েছেন ২,০৪,৭১১ জন মানুষ। অর্থাৎ রোগ (Coronavirus India) থেকে পুনরুদ্ধারের হার ৫৩.৭৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১২,৫৭৩ জন। এতদিন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৬৪,২৬,৬৭২ জনের শারীরিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কমপক্ষে ১,৭৬,৯৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে ৭.৬৭ শতাংশ পরীক্ষার ফল করোনা পজিটিভ এসেছে।
জেনে নিন এই সংক্রান্ত ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
গত ২৪ ঘণ্টায় মিজোরাম থেকে আর নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা পাওয়া যায়নি বলে শুক্রবার জানিয়েছে একটি সরকারি সূত্র। তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের এক বিবৃতি অনুসারে, বৃহস্পতিবার সেখানকার জোরাম মেডিকেল কলেজে পরীক্ষিত ৮১৪ টি নমুনাই করোনা নেগেটিভ আসায় সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।
করোনা ভাইরাস যাতে মহামারী রূপে জাঁকিয়ে বসতে না পারে তাই দিল্লি সহ দেশের ব্যস্ততম শহরগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। দ্রুত অ্যান্টিজেন পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করে কোভিড-১৯ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই শহরগুলোতে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছেন যে, মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআর অনুমোদিত নতুন র্যাপিড অ্যান্টিজেন মেথোডলজির মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা আরও ভাল ভাবে করা সম্ভব হবে। এটি পরীক্ষার রোগনির্ণয় ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং এর ফলে প্রাথমিক স্তরেই রোগ নির্ণয় করা যাবে ও রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে কোভিড -১৯ রোগীদের খুঁজে বের করার জন্যে গণ পরীক্ষা শুরু করার কথা বলেছে। আদালতের মতে ওই গণ পরীক্ষা শুরু করার জন্যে সবচেয়ে ভালো জায়গা এলাহাবাদ শহর।
বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্যে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগার চালু করলেন। এর ফলে এই ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগার যেতে পারবে প্রত্যন্ত গ্রামেও, সেখানেও সহজেই করোনা টেস্ট করা যাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবেদনে সাড়া দিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। তবে কোভিড- ১৯ এর বিরুদ্ধে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বৈদেশিক বাণিজ্য দফতরের তরফ থেকে একটি নোটিসে বলা হয়েছে যে "হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এই সম্পর্কিত ওষুধগুলি" রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নামের ওষুধটির ৭০% ভারতে উৎপাদন করা হয়। এই ওষুধটি লুপাস এবং রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রায় ২০,০০০ জনের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা একদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক। এর মধ্যে ১৩,০০০ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ছিল এবং ৭,০০০ ছিল র্যাপিড টেস্ট।
চিনের ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ডেটা সেন্টারের ওয়েবসাইট শুক্রবার জানিয়েছে, সেদেশের রাজধানী বেজিংয়ে নতুন করে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার পিছনে রয়েছে জিনোম তথ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' আশা করছে যে চলতি বছরের শেষ নাগাদ কয়েকশো মিলিয়ন কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করা যাবে। ওষুধ সংস্থাগুলি যেভাবে ভ্যাকসিন তৈরিতে লাগাতার চেষ্টা করছে তাতে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা আশা করছে যে ২০২১ সালের মধ্যে দুই বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করা যাবে।
Post a comment