COVID-19 Cases in West Bengal: এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে মোট ৩৪,৪২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের দাপট পশ্চিমবঙ্গে বেড়েই চলেছে
- এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে মোট ৩৪,৪২৭ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন
- বাংলায় মোট ১,০০০ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড- ১৯
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের ঘটনা (COVID-19 Cases in West Bengal) লাগাতার বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ওই ভাইরাস বাসা বাঁধলো ১,৫৮৯ জনের শরীরে। পাশাপাশি বুধবার মারা গেলেন ২০ জন করোনা রোগী। ফলে সব মিলিয়ে এরাজ্যে (West Bengal) কোভিড হামলায় মোট ১,০০০ জনের মৃত্যু হল। রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুসারে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৪,৪২৭ জন হয়েছে, যার মধ্যে কিছু মানুষ সুস্থ হয়ে উঠলেও বর্তমানে ওই রোগে (Coronavirus) ভুগছেন ১২,৭৪৭ জন। তবে চিকিৎসা সহায়তায় সেরে উঠে বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৭৪৯ জনকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ২০,৬৮০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন, পুনরুদ্ধারের হার ৬০.০৬%।
বিধানসভাতেও করোনার হানা, আক্রান্ত টাইপিস্ট, অন্যান্য কর্মীরা কোয়ারান্টাইন
বুধবার এরাজ্যে মোট ১১,৩৮৮ টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫.৩০ শতাংশ রোগী করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েছেন। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬,৪৯,৯২৮ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে।
বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির
শহর কলকাতায় করোনার বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ছে। সেখানে একদিনের মধ্যে নতুন করে আরও ৪২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং গত একদিনে সেখানে ৯ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড- ১৯। সব মিলিয়ে কলকাতা শহরে মোট ৫২৫ জনের করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে। খুব একটা পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। সেখানে ৩৪৭ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৬ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১৮৬।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৭৪ জন নতুন করোনা সংক্রমণ হয়েছে, তবে আশার কথা সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি। হাওড়া জেলায় ১৫১ জন নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় এখনও পর্যন্ত ১৩৭ জনের প্রাণ কেড়েছে এই রোগ। ওদিকে মালদহে ১২১ জন নতুন করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে, তবে সেখানে বুধবার কারও মৃত্যু হয়নি।
তবে করোনা ভাইরাস যেভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে তাতে শঙ্কিত সকলে। আরও আতঙ্কের কথা যে, এবার ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন রাজ্য বিধানসভার এক টাইপিস্ট। ফলে সুরক্ষা স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিধানসভার সমস্ত কার্যক্রম আগামী ১০ দিনের জন্যে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।