গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৫২২ জন। প্রতিদিনই বিরাট সংখ্যক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সব মিলিয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনায় (Coronavirus Cases India) আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৬৬,৮৪০ জন। এই রোগ মহামারী রূপে দেখা দেওয়ার পর থেকে দেশে (Coronavirus Deaths India) মোট ১৬,৮৯৩ জন রোগী মারা গেছে এই রোগে ভুগে। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগে ৪১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে সোমবারই কেন্দ্রীয় সরকার "আনলক ২" এর জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
১ জুলাই থেকে একমাসের জন্যে "আনলক ২" এর নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, কনটেনমেন্ট জোনগুলোতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কড়া লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অন্য় দিকে, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে নাইট কারফিউ। তবে, জরুরি পরিষেবা কারফিউয়ের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, কোচিং ইনস্টিটিউশন সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অনলাইনেই পড়াশুনো চলবে। কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে নিয়মবিধি মেনে ১৫ জুলাই থেকে রাজ্য় ও কেন্দ্রের ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক উড়ান, মেট্রো রেল, সিনেমা হল, জিম, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম আপাতত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে খেলা, সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানও।
এদিকে এই প্রথম ভারতে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে এমন সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করেছে হায়দরাবাদের একটি সংস্থা। কোভাক্সিন নামে ওই প্রতিষেধককে ড্রাগ কনট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া অনুমোদন দিয়েছে। জুলাই থেকেই ভারতে মানব শরীরে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করা হবে এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে।
ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ৩,৩৪,৮২২ জন করোনা ভাইরাসের কবল থেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। এদিকে দেশে আজ পর্যন্ত যত জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্ট করা হয়েছে তার মধ্যে থেকে ৮.৮০ শতাংশ মানুষ করোনা পজিটিভ। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ৮৬,০৮,৬৫৪ জনের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু সোমবারই সারা দেশে ২,১০,২৯২ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন মহারাষ্ট্রে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সব মিলিয়ে সেরাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১.৬৪ লক্ষে পৌঁছেছে। যা কিনা চিনের করোনা সংক্রমণের প্রায় দ্বিগুণ।