গত ২৪ ঘণ্টায় ঝড়ের গতিতে দেশে বাড়ল করোনা সংক্রমণ। নতুন করে ওই মারণ রোগে (Coronavirus) আক্রান্ত ৩,৯০০ জন, মারা গেলেন ১৯৫ জন রোগী। সব মিলিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬,০০০ পেরিয়ে গেলো। করোনা ভাইরাসকে রুখতে দেশে টানা লকডাউন চলছে, তবু যেন বাগে আনা যাচ্ছে না ওই সংক্রামক রোগকে (COVID-19), ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবার সকালের পরিসংখ্য়ান অনুসারে দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৪৬,৪৩৩ জন। দেশ জুড়ে এই রোগের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে মোট ১,৫৬৮ জনের। তবে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২,৭২৭ জন রোগী করোনার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে কোভিড- ১৯ রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৪ শতাংশে।
এদিকে টানা লকডাউনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। তারপর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাড়ানো হল এই লকডাউনের মেয়াদ। এর আগে দেখা গেছে বিশ্বের যে যে দেশে এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তারাই লকডাউনের পথে হেঁটেছে এবং তার সুফলও পেয়েছে, অনেকটাই রদ করা গেছে সংক্রমণ। অনেকটা সেই উদাহরণকে সামনে রেখেই ভারতেও লকডাউন জারি করা হয়। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই, বরং প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।সোমবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে ২,৫৭৩ জন করোনা আক্রান্ত হন। একদিনের মধ্য়েই মারা যান ৮৩ জন রোগী। রবিবারও দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। ওইদিনও নতুন করে করোনা ভাইরাস থাবা বসায় ২,৪৮৭ জনের দেহে।
এদিকে গোটা দেশে এই লকডাউন চলায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। শিল্পসংস্থা ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় ধুঁকছে দেশের অর্থব্যবস্থাও। মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার দেশের গরিবদের সাহায্যের জন্যে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা ভাইরাসকে রুখতে টানা যে লকডাউন চলেছে তাতে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পগুলিকে পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারে এমন কোনও আর্থিক প্যাকেজ এখনও ঘোষণা করেনি মোদি সরকার। তবে অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করে দিয়েছেন।