தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Apr 10, 2020

দেশে করোনার শিকার ১৯৯ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৩, মোট সংক্রমিত ৬,৪১২ জন

Coronavirus in India: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে, সেখানে এখনও পর্যন্ত ১,৩৬৪ জন করোনা পজিটিভ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Coronavirus: দেশে এখনও পর্যন্ত ১৯৯ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই মারণ ভাইরাস

Highlights

  • দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, পাল্লা দিয়ে ছড়াচ্ছে আতঙ্কও
  • সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে করোনা আক্রান্ত ৬,৪১২ জন
  • এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯৯ জন
নয়া দিল্লি:

লকডাউনের মধ্যেই একের পর এক মানুষ শিকার হচ্ছেন করোনা ভাইরাসের। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই মারাত্মক ভাইরাসটি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এখন মোট সংক্রমিত ৬,৪১২ জন। এর মধ্যে আবার ভারতে এই রোগের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে, সেখানে এখনও পর্যন্ত ১,৩৬৪ জন করোনা পজিটিভ। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চিনের উহান প্রদেশে প্রথম ধরা পড়ে এই মারণ ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ওই ভয়ঙ্কর রোগ। এর আগে মানব ইতিহাসে করোনা ভাইরাসের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি, ফলে এর সঙ্গে যুঝতে নাকানি-চোবানি খেতে হচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞানকে।

এদিকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে যে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে আগে থেকেই এর সংক্রমণকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তাই কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনাজনিত কোনও লক্ষণ দেখলেই তাঁর করোনা টেস্ট করানো হোক, এমন পরামর্শই দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের মতো জনবহুল শহরগুলিতে করোনা ভাইরাসের চিহ্নিতকরণ পরীক্ষার জন্যে আরও টেস্ট-কিট আনা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি ল্যাবেও এই পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। তবে আশার কথা এই যে, সাম্প্রতিক ওই পরীক্ষার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যত জন মানুষের করোনা-টেস্ট হয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এই পরিসংখ্যানই ভাল দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতকে।

 লাগাতার করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা, দিন-রাত এক করে খাটছেন আইসিএমআরের কর্মীরা

Advertisement

এদিকে ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে ওড়িশা। নবীন পট্টনায়েক সরকার তাঁর রাজ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকার ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও করোনা সংক্রমণ রুখতে বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শই দিয়েছিলেন। যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে না যে ১৪ এপ্রিলের পরে আদৌ লকডাউন উঠবে।  দেশের বিভিন্ন শহরগুলিতে একাধিক করোনা সংক্রমণ প্রবণ এলাকা বা হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যে ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্যকে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, মুম্বই এবং পুনেতে লকডাউনের সম্প্রসারণের মধ্যেই কৃষিকাজ সহ বেশ কিছু বিষয়ে খানিকটা ছাড় দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।

এই মহামারী বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে আরও ২৫ জনের প্রাণ কেড়েছে, এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৯৭।

Advertisement

দেশে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত, ভারতে ওই মারণ রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীই হয় নিজেরা বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন নয়তো বিদেশ থেকে ফেরা কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। কিন্তু এখন আর বিদেশ সফরের ইতিহাস থাকলে তবেই করোনা পরীক্ষা করা হবে সেই নীতি নিয়ে বসে নেই আইসিএমআর। ওই সংস্থা বলছে, এবার কোনও ব্যক্তির মধ্যে করোনাজনিত লক্ষণ দেখা গেলেই তাঁর টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত, তাতে অনেক বেশি মাত্রায় এই রোগের সংক্রমণ আটকানো সম্ভব।

Advertisement

Advertisement