Army Hospital, Delhi: সেনা হাসপাতালে কোনও স্বাস্থ্য কর্মী অবশ্য করোনা পজিটিভ নয় বলেই খবর মিলেছে (প্রতীকী চিত্র)
হাইলাইটস
- দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বাড়ছে
- এবার এক সেনা আধিকারিক সহ মোট ২৪ জন সেনাকর্মী করোনা পজিটিভ হলেন
- দিল্লির আর্মি হাসপাতালের ক্যানসার বিভাগে তাঁরা চিকিৎসাধীন ছিলেন
নয়া দিল্লি: দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। দেশের সেনা সূত্রে খবর, দিল্লির আর্মি হাসপাতালে ক্যানসার বিভাগে যে সেনা (Army) আধিকারিক ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মীরা ভর্তি রয়েছেন তাঁদের মধ্যে এক সেনা আধিকারিক সহ মোট ২৪ জন করোনা (COVID- 19) পজিটিভ। তাঁদের শরীর থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে ইতিবাচক ফল মিলেছে। এর ফলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরিয়ে দিল্লির বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সেনা হাসপাতালে যাঁরাই করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েছেন তাঁরা সকলেই সেখানকার ক্যান্সার বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে আশার কথা এটাই যে, এখনও পর্যন্ত ওই হাসপাতালের কোনও স্বাস্থ্য কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসাবে ধরা পড়েননি। গত মার্চ মাসে, যখন থেকে ধীরে ধীরে ব্যাপক আকারে দেশে ওই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তখনই কিন্তু ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় কোভিড- ১৯। তারপর থেকেই দেশের অকুতোভয় সেনাও সমঝে চলছে ওই ভয়ঙ্কর রোগটিকে।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রচেষ্টার সুফল মিলবেই, মনে করেন অনুপম খের
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সেনা জওয়ানরা কর্তব্যরত রয়েছেন তাঁদের সকলকেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মেনে চলতে হচ্ছে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা।
লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় "অ্যাকশন প্ল্যান" তৈরি করছে কেন্দ্র
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ৩,৯০০ জন, মারা গেলেন ১৯৫ জন রোগী। সব মিলিয়ে এদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবার ৪৬,০০০ পেরিয়ে গেলো। করোনা ভাইরাসকে রুখতে দেশে টানা লকডাউন চলছে, তবু যেন বাগে আনা যাচ্ছে না ওই সংক্রামক রোগকে, ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবার সকালের পরিসংখ্য়ান অনুসারে দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৪৬,৪৩৩ জন। দেশ জুড়ে এই রোগের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে মোট ১,৫৬৮ জনের। তবে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২,৭২৭ জন রোগী করোনার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে কোভিড- ১৯ রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৪ শতাংশে।