Coronavirus Cases, India: ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানা যাচ্ছে
হাইলাইটস
- দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে
- ভারতে মোট আক্রান্ত ৬৭,১৫২ জন, মারা গেছেন ২,২০৬ জন
- তবে এখন ওই রোগ থেকে দেশে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে ৩১.১৪ শতাংশ হয়েছে
নয়া দিল্লি: সপ্তাহের শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা। এখনও পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বাধিক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের পরিসংখ্যান দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সরকারি পরিসংখ্য়ান মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus Pandemic) নতুন শিকার হয়েছেন ৪,২০০ জন রোগী এবং মারা গেছেন ৯৭ জন। এর আগে, একদিনে একসঙ্গে এতজন কোভিড- ১৯ (COVID- 19 Cases India) এর কবলে পড়েননি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংক্রামক ব্যাধির হামলায় নাজেহাল ভারতও। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে কোভিড- ১৯ রোগের কবলে পড়েছেন মোট ৬৭,১০০ জন, ওই রোগের সঙ্গে যুঝতে না পেরে মারা গেছে মোট ২,২০৬ জন। তবে দেশে করোনা আক্রান্ত যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে ওই রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হারও। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, যেখানে গত রবিবার দেশে সেরে ওঠা রোগী ছিল ২৬.৫৯ শতাংশ, সেখানে তা এখন বেড়ে হয়েছে ৩১.১৪ শতাংশ।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কম করতেই দেশে লকডাউন জারি করা রয়েছে। এরই মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মঙ্গলবার থেকেই দেশে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু করার; এর জন্যে ট্রেনের টিকিটের অনলাইন বুকিং আজ (সোমবার) থেকেই শুরু হয়েছে। দেশ জুড়ে লকডাউন জারি থাকা সত্ত্বেও মূল ছন্দে ফেরার চেষ্টাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।
দিল্লি থেকে যাত্রী ট্রেন পরিষেবা শুরু মঙ্গলবার! সোমবার বিকেল থেকে টিকিট বুকিং
করোনা ভাইরাস দেশে দ্রুতহারে ছড়ানো শুরু করার আঁচ পেয়েই গত ২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশে লকডাউন জারি করা হয়। ওই পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় রেলের যাত্রী পরিষেবা। ভারতীয় রেল মন্ত্রক এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ১৫ টি "বিশেষ" ট্রেন (আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট ৩০ টি সফর) দিল্লি থেকে ছেড়ে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট, জম্মু, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হবে।
তবে আজ (সোমবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। ২৫ মার্চ দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে এনিয়ে এটি পঞ্চম বৈঠক হতে চলেছে। এই মহামারীর ফলে ভয়ঙ্কর মন্দার মধ্যে চলে গেছে দেশের সার্বিক অর্থনীতি। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান প্রধানমন্ত্রী।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাপারে উদাসীন রাজ্য সরকার: অধীর চৌধুরী
বন্দে ভারত ভারত মিশনের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বিমান এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ কাজে লেগে পড়েছে। সরকারের এই বিশাল অভিযান দেখতে দেখতে পঞ্চম দিনে পা দিল। গত সপ্তাহেই কয়েক হাজার মানুষ এদেশে ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে যদিও ৫ জন কেরলে নামার পরেই করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রবিবার জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ১০ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, যা অনেকটাই স্বস্তির। "এটা লক্ষ্য করে আমরা স্বস্তি পাচ্ছি যে ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আর নতুন করে কেউ ওই রোগে আক্রান্ত হয়নি। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচল প্রদেশ, দাদরা ও নগর হাভেলি, গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, মণিপুর, ওডিশা, মিজোরাম এবং পুদুচেরিতে মিলেছে এই সাফল্য" , বলেন মন্ত্রী।
তবে মহারাষ্ট্রে যেন কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না ওই মারণ রোগকে। সেরাজ্যে, রবিবারই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,২৭৮ জন। ওই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২,০০০-এ পৌঁছে গেছে। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এই রাজ্যে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন কোভিড- ১৯ ভাইরাসে। দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শহর এখন মুম্বই। সেখানে ১৩,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে, মারা গেছেন প্রায় ৫০০ জন।