দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কড়া নজরদারি চলছে ভারতীয় সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে। করোনা (Coronavirus) সতর্কতার খাতিরেই এবার বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও এক দল বাংলাদেশিকে আটকে দেওয়া হল ভারতীয় সীমান্তে। জানা গেছে, শুক্রবার ৪০ থেকে ৪৫ জনের একটি দল (Bangladeshi) বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের জন্যে সীমান্তে এসেছিল। কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা লক্ষ্য করেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন। আগেই জানানো হয়েছিল, এই লক্ষণগুলি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের (Coronavirus Outbreak) অন্যতম লক্ষণ। তাই কোনওভাবেই ঝুঁকি (Coronavirus In India) নেননি সীমান্ত সুরক্ষা আধিকারিকরা। ত্রিপুরার আখাউড়া চেকপোস্টে ভারতে প্রবেশের জন্যে হাজির হওয়া বাংলাদেশের ওই দলটির বৈধ পাসপোর্ট থাকলেও তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের দেশে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হারাতে পারেন সাধের চাকরিটিও! করা হচ্ছে আশঙ্কা
পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা নজরদারি আধিকারিক সংগীতা চক্রবর্তী বলেন, "মোট ৪০-৪৫ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কারণ দেখা গেছে যে তাঁদের মধ্যে অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশি সহ নানা উপসর্গে আক্রান্ত। এই ধরণের লক্ষণগুলির সবকটিই COVID-19-এর লক্ষণের সঙ্গে মিলে যায়। সুতরাং, কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে"।
পাশাপাশি তিনি আরও জানান যে, সম্প্রতি যাঁদের আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককেই প্রথমে ত্রিপুরায় ১৪ দিনের জন্যে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে, নজর রাখা হবে তাঁদের উপর।
করোনার পর এবার সোয়াইন ফ্লু, এ রাজ্যে আক্রান্ত ১৩
সংগীতা চক্রবর্তী আরও জানান যে একমাত্র যাঁদের মেডিকেল ভিসা রয়েছে তাঁদের প্রথমে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে, সেই পরীক্ষায় যাঁরা পাশ করবেন তাঁদের বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য ত্রিপুরাকে তিনদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে মোট ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত অঞ্চল ভাগ করে নিয়েছে ওই রাজ্যটি। ত্রিপুরায় আখাউড়া চেকপোস্ট সহ ৮ টি চেকপোস্ট রয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)