Coronavirus in India: দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে, তবে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও
হাইলাইটস
- দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৪,২৫,২৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
- মোট ১৩,৬৯৯ জন মারা গেছেন এই রোগে ভুগে
- সংক্রমিতের হিসাবে সবার আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তারপরেই রয়েছে দিল্লি
নয়া দিল্লি:
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (Coronavirus India) দেখতে দেখতে ৪.২৫ লক্ষকেও ছাড়িয়ে গেল। দেশে নতুন করে এই রোগ (Coronavirus) থেকে সংক্রমণের হারও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪৪৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ ভাইরাস। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,২৫,২৮২ হয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,৬৯৯ এ। একদিনের মধ্যে ভারতে নতুন করে ১৪,৮২১ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে কোভিড- ১৯ (COVID- 19) ভাইরাস। তবে আক্রান্তের পাশাপাশি করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হারও বেড়েছে। বর্তমানে ৫৫.৭৭ শতাংশ রোগী করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ২,৩৭,১৯৬ জন। এদিকে করোনা আক্রান্তের বিচারে মহারাষ্ট্রের পরেই এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। গত কয়েকদিনে যে হারে সেখানে সংক্রমণ বেড়েছে তাতে তামিলনাড়ুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে রাজ্যটি। করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম ১০ টি দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।
দেখে নিন এই সম্বন্ধিত ১০ তথ্য:
দিল্লিতে যে হারে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে বিচলিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজালের সঙ্গে বৈঠক করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, দিল্লিতে আরও "জোরদারভাবে" করোনা আক্রান্তদের খুঁজে বের করতে হবে এবং কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে আরও কড়াকড়ি করা হবে। চিকিৎসা পরিষেবা আরও জোরদার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেকোনও মৃত্যুর খবর যেন কেন্দ্রকে দেওয়া হয়।
দিল্লিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০,০০০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে দেশের রাজধানীতে মোট আক্রান্ত ৫৯,৭৪৬ জন। রবিবার আরও হাজার তিনেক মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রে রবিবার আরও ৩,৮৭০ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেরাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩২,০৭৫ জন। রাজ্যটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬,১৭০ জনে পৌঁছেছে, ১০১ জন নিহত হয়েছে। রাজধানী মুম্বইয়ে এখন করোনা আক্রান্ত মোট ৬৬,৪৮৮ জন।
তামিলনাড়ুতে একদিনের মধ্যে আরও ২,৩৫২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জন মারা গেছেন। তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ৫৯,৩৭৭ জন, যার মধ্যে সক্রিয় করোনা রোগী হল ২৫,৮৬৩ জন।
রাজধানী চেন্নাইয়েই রয়েছে রাজ্যের প্রায় ৬৯ শতাংশ রোগী। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০,০০০ ছাড়িয়েছে। চেন্নাই এবং আশেপাশের তিনটি জেলাকে ৩০ জুন পর্যন্ত সামগ্রিক লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে।
তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে মোট ৭,৭১,২৬৩ জনের শরীরে করোনা টেস্ট করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে তার পরেই রয়েছে, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটক।
তেলেঙ্গানায় হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা গেছে। সেখানে গত একদিনের মধ্যে নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩০ জন। এর ফলে সে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ৭,৮০২-এ পৌঁছেছে।
রবিবার কর্নাটকে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৩ জন। ফলে সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
কেরলেও দেখা যাচ্ছে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়ছে। রবিবার সেখানে নতুন করে মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৩ জন, এর মধ্যে ৮০ জন অন্যান্য দেশ থেকে এবং ৪৩ জন অন্যান্য রাজ্য থেকে সেখানে ফিরে এসেছেন।
করোনা ভাইরাস মহামারীটি গত বছরের শেষের দিকে চিনে ধরা পড়ে, পরে সেখান থেকেই ওই রোগ বিশ্বের অন্যান্য দেশও ছড়ায়। বিশ্বের মোট ৪.৬৮ লক্ষ মানুষ মারা গেছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। মোট ৮৯.৪৪ লক্ষেরও বেশি মানুষের শরীরে হামলা করেছে অত্যন্ত সংক্রামক ওই ভাইরাস।
Post a comment