Coronavirus Cases India: দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৯,০০০ ছাডিয়েছে
হাইলাইটস
- ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১,৫৯৪ জন
- দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কবল থেকে সুস্থ হতে পেরেছেন ৭,০২৭ জন
- দেশের মোট মৃতের সংখ্যার মধ্যে ৩৯ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে
নয়া দিল্লি:
২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১,৫৯৪ জন, এবং মৃতের সংখ্যা ৫১, ফলে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৯,৯৭৪ জন, তারমধ্যে রয়েছে ৯৩৭ জনের মৃত্যু। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কবল থেকে সুস্থ হতে পেরেছেন ৭,০২৭ জন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আরোগ্যলাভের হার ২৩.৩৩ শতাংশ। গত তিন দিনে কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার সংখ্যা ১০.৯ শতংশ কমেছে বলে এদিন বিকেলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন।সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দেন যে, যে সমস্ত এলাকাগুলি করোনা ভাইরাস অতিমারী সংক্রমণের হটস্পট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলিতে ৩ মে এর পরেও লকডাউন চলবে। মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিকেও গুরুত্ব দিতে হবে”। কমলা ও সবুজ অর্থাৎ কম সংক্রমিত এলাকাগুলিতে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ চালু হতে পারে।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
দেশে করোনায় মৃতের মধ্যে ৮০ শতাংশই এসেছে পাঁচটি রাজ্য মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি ও রাজস্থান থেকে। দেশের ৯৩৭ জনের মৃত্যুর মধ্যে এই পাঁচটি রাজ্যেই মৃতের সংখ্যা ৭৪১ জন।
দেশের মোট মৃতের সংখ্যার মধ্যে ৩৯ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ৩ মে দেশের লকডাউন শেষ হলে, কড়াকড়ি লঘু করা নিয়ে আলোচনা হবে। গুজরাতে মৃতের হার ১৭ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ১১.৭৮ শতংশ, বা ১১০ জনের মৃত্যু।
সরকারের তরফে সোমবার বলা হয়, বিতর্ক তৈরি হওয়ায় চিনের সংস্থাকে দেওয়া পরীক্ষার কিটের বরাত বাতিল করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট তৈরি করে চিনের দুই সংস্থা গুয়াংঝাউ ওন্ডফো বায়োটেক, এবং ঝুয়াই লিভজোন ডায়াগনস্টিক, তাদের কিট “কাজের অযোগ্য” বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ, এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়, ওই সংস্থার কাছে “কোনও অর্থই লোকসান হবে না”।
নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ চিহ্নিত করেছে আমেরিকার শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থা, তারা বিশ্বজুড়ে এই অতিমারীর দিকে লক্ষ্য রাখছে, তাদের কর্মীরা উন্নত কাজ করছেন। নতুন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে ঠাণ্ডা লাগা, বারবার কাঁপুনি ধরা, মাংসপেশীতে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, এবং স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া। এগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবপেজে নেই। তাদের ওয়েবপেজে, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, ব্যথা ও যন্ত্রণা, নাসারন্ধ্র বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা ও ডায়েরিয়া।
জরুরি নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এমন দোকানগুলিও খোলার অনুমতি দেওয়ার একদিন পরেই, সব্জি বিক্রেতা, প্লাম্বার, বিদ্যুৎ লাইনের কাজ, এবং পানীয় জলের পরিশুদ্ধ করার যন্ত্র সারানোর কাজে অনুমতি দেয় দিল্লি সরকার, মঙ্গলবার থেকে সেই কাজে অনুমতি মিলেছে। দেশের রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০০ পেরিয়েছে, দেশের মধ্যে যা তৃতীয়।
দিল্লির সঙ্গে তাদের সীমানা আরও কড়াকড়ি করেছে হরিয়ানা, এই সীমানা যোগ রয়েছে গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদের, দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এই শহরগুলিতে যেতে হলে সরকারের অনুমতিপত্র লাগবে, যা মঙ্গলবার দেওয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদমাধ্যমের কর্মী., সহ জরুরি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের এই অনুমতিপত্র প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। এর আগে একইভাবে বিভিন্ন বিধিনিষেধ লাগু করে উত্তরপ্রদেশ সরকার., যা নয়ডা ও গাজিয়াবাদের মধ্যে রয়েছে।
কোনও রকম পরিবহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে হরিয়ানার শোনিপত জেলায়, তারমধ্যে রয়েছে আজাদপুর থেকে ফল ও সব্জি পরিবহন, দিল্লি পুলিশের যাতায়াত, এবং জেলায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন সোমবার জানিয়েছেন, সেরাজ্যে লকডাউন চলতে পারে ১৫ মে পর্যন্ত, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্স ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোন পাওয়ার পরেই প্রস্তাব হিসেবে একথা জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য মনে করে যে, ১৫ মে এর আগে যে সমস্ত জেলাগুলিতে কোনও সংক্রমণ দেখা যাবে না, সেই এলাকাগুলিতে মানুষের চলাফেরা এবং গণপরিবহন চালু করা হতে পারে আংশিকভাবে এবং সমস্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করে। আন্তজেলা ও আন্তরাজ্য যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হবে ১৫ মে পর্যন্ত”।
বিশ্বজুড়ে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ৩ মিলিয়ন পেরিয়েছে সোমবার, ইউরোপিয় দেশগুলি এবং আমেরিকায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছে থমকে যাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে।বিশ্বজুড়ে করোনার বলি ২০৯,০০০ জন এবং তিন মিলিয়নের বেশি মানুষ আক্রান্ত, আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৫৫,০০০ এর বেশি।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জানান, আগেও করোনা ভাইরাস নিয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্কতা করা হয়েছে তাঁদের তরফে, পাশাপাশি দুঃখের সঙ্গে জানানো হয়, সব দেশ তাঁদের কথা শুনছে না। সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যান্ধাম ঘিব্রিসিয়াস উল্লেখ করেন যে, ৩০ জানুয়ারি করোনা ভাইরাস অতিমারী ছড়িয়ে পড়া নিয়ে “আন্তর্জাতিক উদ্বেগে গণ স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা” জারি করা হয়, সেই সময় কোনও মৃত্যু হয়নি এবং চিনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮২ জন।
Post a comment