করোনা ভাইরাস (Coronavirus) এবার থাবা বসালো বাঘের শরীরেও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রোনক্স চিড়িয়াখানার একটি বাঘিনী (Tigress) এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর মেলায় করোনা আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। দ্য ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির পরিচালনাধীন ওই চিড়িয়াখানার (Bronx Zoo in New York ) তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, চার বছর বয়সী একটি মালয়েশিয়ান বাঘিনীর শরীরে ওই সংক্রমণের (Coronavirus Outbreak) প্রমাণ মিলেছে। নাদিয়া নামের ওই বাঘিনীর শুকনো কাশি হচ্ছিল কিছুদিন ধরেই। বিষয়টি নজরে আসার পর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাঁর শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠায়। ওই পরীক্ষার পর বাঘিনীর শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। এরপরেই তাকে আলাদা করে রেখে বিশেষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ৩২ জনের মৃত্যু, মোট ১০৯
শুধু তাই নয়, ওই চিড়িয়াখানায় উপস্থিত একই প্রজাতির আরও ৬টি বাঘ (Tiger) ও সিংহের মধ্যেও করোনা সংক্রমণের লক্ষণ মিলেছে। এই ঘটনায় নতুন করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কপালে। এমনিতেই গোটা বিশ্বে মহামারী রূপে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ওই রোগ। আমেরিকায় অসংখ্য মানুষ সংক্রামিত, প্রতিদিনই মৃত্যু হচ্ছে বড় সংখ্যক মার্কিন বাসিন্দাদের। এর মধ্যে আবার পশুদের দেহে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় অকূল পাথারে বিশ্বের অন্যতম উন্নত এই দেশ।
cnbc.com -এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি বিভাগের ন্যাশনাল ভেটেরেনারি সার্ভিসের ল্যাবে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। USDA এর মতে, এই প্রথম কোনও বাঘিনীর শরীরে COVID-19 সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেল। একই রকম লক্ষণ ওই চিড়িয়াখানার অনেক বাঘ এবং সিংহের মধ্যেই দেখতে পাওয়া গেছে। USDA জানিয়েছে, সম্ভবত চিড়িয়াখানায় পশুদের দেখভাল করা কোনও কর্মীর শরীর থেকেই ওই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বাঘিনীটির শরীরে। গত ২৭ মার্চ থেকেই নাদিয়ার নামে বাঘিনীটির শরীরে ওই ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলি দেখা দেয়।বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সমিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্রোনক্স চিড়িয়াখানার পশুগুলির যথেষ্ট ভাল দেখভাল করা হয়। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে সেখানকার বেশ কিছু বাঘ-সিংহ খাবার খেতে চাইছে না, ধুঁকছে। যা নিয়ে আরও চিন্তায় কর্তৃপক্ষ। ওই পশুদের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
এমনিতেই করোনার উপদ্রবে বেসামাল আমেরিকা। ওই দেশে মহামারী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ওই মারাত্মক রোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ ওই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে বহু মানুষের। ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, আমেরিকায় এই মুহূর্তে ৩,৪০,০০০ এরও বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত। এরই মধ্যে পশুদের শরীরে ওই ভাইরাসের লক্ষণ আরও চিন্তা বাড়িয়েছে গোটা দেশের।