Coronavirus Lockdown: কলকাতার একটি ব্যস্ততম জায়গার লকডাউন পরিস্থিতির ছবি
হাইলাইটস
- করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় লকডাউন মেনে চলতে হবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত
- এই বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করে রাস্তায় বের হলে হতে পারে জেল ও জরিমানা
- রাজ্যগুলোকে কঠোর হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার
নয়া দিল্লি: করোনা-বিপর্যয়ে নড়েচড়ে বসেছে গোটা দেশ। এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশবাসীকে ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার বিভিন্ন রাজ্যের মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে তৎপর হচ্ছে কেন্দ্র।এমনিতে রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সাধারণত রাজ্য সরকারের অধীনেই থাকে, কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে আইনি পথ (National Disaster Management Act) অবলম্বন করে রাশ ধরছে কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবার আসরে নামছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, "কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা" বিবেচনা করে পদক্ষেপ করবে তারা। যাঁরা লকডাউন (Coronavirus Lockdown) না মেনে রাস্তায় বের হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া আইনি (NDMA) ব্যবস্থা নেওয়া হয় এই জন্যে রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার।
একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যগুলির মুখ্য সরকারি আমলাদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং অধ্যক্ষ সচিব, পুলিশ প্রধান সহ দিল্লির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এক বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে যে, লকডাউন মেনে চলার বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসরণ করতে হবে তাদের।
লকডাউনে "দিন আনি-দিন খাইদের কীভাবে চলবে?" প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রশ্ন কংগ্রেসের
এই লকডাউন পরিস্থিতি কার্ফু কিনা তা জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা ব্যাখ্যা করে বলেন যে এটি ঘোষিত কার্ফু না হলেও একরকম সেই পরিস্থিতিই। কেননা এই রোগটি এমন যে যত মানুষ একে অপরের সঙ্গে মিশবেন ততই এর সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। তাই দয়া করে ঘরবন্দিই থাকুন, প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই বলছেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা।
"দিনমজুররা কীভাবে পেট ভরাবেন?": লকডাউন নিয়ে মোদিকে প্রশ্ন কমল হাসানের
জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্যেও যেহেতু এখন এনডিএমএ অ্যাক্ট (NDMA Act) প্রয়োগ করা হবে, তাই ওই আইনের অধীনে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। লকডাউন না মেনে অযথা রাস্তায় বের হলে আইনভঙ্গকারীদের জরিমানা করা হবে। শুধু জরিমানা দিয়েই মিলবে না রেহাই, হতে পারে জেলও। ওই আইন অনুসারে লকডাউন না মেনে রাস্তায় বেরোনোর জন্যে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা বা দুটোই হতে পারে। এক্ষেত্রে ১৮৮ ধারা প্রয়োগ করা হবে যাতে ৬ মাসের জেল এবং জরিমানা বরাদ্দ রয়েছে।
দেশ জুড়ে লকডাউনের জন্যে জারি করা নির্দেশিকাতে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে, যাঁরা এই "নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা" লঙ্ঘন করবেন তাঁদের দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের ৫১ থেকে ৬০ ধারায় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
দেশে আগামী ২১ দিন পুরোপুরি লকডাউন পরিস্থিতি চলবে, মঙ্গলবার রাত ৮টার সময় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে আগামী ২১ দিন এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই ক'দিন কোনওভাবেই ঘর থেকে বেরোনো যাবে না। "মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পুরো দেশ লকডাউন, পুরো লকডাউনে থাকবে। ভারতকে বাঁচাতে, তার প্রতিটি নাগরিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন আপনি, আপনার পরিবার ... দেশের প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি জায়গাকে লকডাউন করে দেওয়া হচ্ছে",ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আগামী ২১ দিনের মধ্যে বাড়ির চৌকাঠ পেরোনোর কথা ভুলে যান ... কারণ আপনি এই লক্ষ্মণ রেখা পার হলে ভাইরাসটিকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসবেন"।