রাজধানী দিল্লির (Delhi) অন্যতম প্রাণকেন্দ্র জনপ্রিয় 'বেঙ্গলি মার্কেট'। এখন ওই এলাকায় (Bengali Market) নেই কোনও ব্যস্ততা, রীতিমতো শ্মশানের নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে সেখানে। সম্প্রতি ওই এলাকায় নতুন করে আরও ৩ জন করোনা আক্রান্তের (Coronavirus) সন্ধান মেলায় পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় এটাই যে, একে অপরের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে থাকার কথা বলা হলেও ওই চত্বরেরই একটি বাঙালি কেকের দোকানের ছাদে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকছিলেন ওই দোকানেরই ৩৫ জন কর্মী। এদের মধ্যে আবার দু'জন কর্মীর শরীরে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেছে। তা সত্ত্বেও সকলে একসঙ্গে থাকায় ওই কর্মীদের মধ্যে আরও বেশি করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই 'বেঙ্গলি মার্কেট' এলাকাটিকে সংক্রমণ প্রবণ এলাকা বা হটস্পট বলে চিহ্নিত করে গোটা চত্বর সিল করে দিয়েছে দিল্লি সরকারের পুলিশ প্রশাসন।
রাজ্যে ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্যকে কোয়ানান্টাইন করা হয়েছে, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলায় একটি বাঙালি কেকের দোকানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, ওই দোকানেরই ছাদে বাস করছিলেন ৩৫ জন কর্মী। যদিও ওই দোকানের তরফ থেকে দোকান খোলার অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন চলার ফলে ওই কর্মীদের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকাতেই দোকানের ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা, বলেছে কর্তৃপক্ষ। কোনও অন্যায় কাজ তাঁরা করেননি, দোকান বন্ধই ছিল, একথাই বলেন দোকান মালিক। তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে বাঙালি কেকের দোকানের কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিকরা একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না রেখেই ওই দোকানের ছাদে বাস করছিলেন। আপাতত তাঁদের অন্য একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে।
এদিকে ওই এলাকায় সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে দিল্লি সরকার। কেননা ওই এলাকার আশেপাশে প্রায় ৩০০ টিরও বেশি বাড়িঘর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি প্রশাসন জানিয়েছে যে পুরোপুরি ঘরবন্দি থাকুন এলাকার বাসিন্দারা। প্রয়োজনীয় দরকারি জিনিসপত্র ও খাবার-দাবার বাসিন্দাদের দোরগোড়ায় সরবরাহ করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
করোনার ছোবলে মৃত ১৬৬, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু, মোট আক্রান্ত ৫,৭৩৪
এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে "মানহানি"-র মামলা করতে চলেছেন ওই কেকের দোকানের মালিকরা। "আমাদের দোকানটি ২৫ মার্চ (লকডাউন ঘোষণার দিন) থেকেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে লকডাউন জারি হওয়ায় দোকানের কর্মীরা নিজেদের শহরে ফিরে যেতে পারেননি। তাই আমাদের দোকানের ছাদে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। এই মহামারীর বিরুদ্ধে আমরাও লড়াইয়ে সামীল রয়েছি। আটকে পড়া এই কর্মীদের বেঁচে থাকার জন্যে খাবার এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় দ্রব্যও সরবরাহ করা হয়েছিল আমাদের তরফে", এক বিবৃতিতে বলেছেন তাঁরা।
দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। সেখানে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ৬৬৯ জন। বুধবারই রাজ্য সরকার ২০ টি সংক্রমণ প্রবণ এলাকা সিল করে দেয়। পাশাপাশি দিল্লির সমস্ত নাগরিককে জনসমক্ষে মাস্ক পরতেই হবে, জানিয়ে দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার।
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|