This Article is From Apr 04, 2020

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই চিকিৎসকের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল ব্রিটিশ সরকারও!

Coronavirus: ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক নিশান্ত জোশীর করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রচারের কারণে ব্রিটিশ সরকারকে পূর্ব ঘোষিত নির্দেশগুলোর পরিবর্তন করতে হয়

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই চিকিৎসকের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল ব্রিটিশ সরকারও!

Coronavirus In Britain: গোটা বিশ্বের মতো ব্রিটেনও আক্রান্ত হয়েছে মারাত্মক করোনা ভাইরাসে

হাইলাইটস

  • ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসকের যুক্তির কাছে হার মানল ব্রিটিশ সরকার
  • করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় চিকিৎসকদের জন্যে বিশেষ মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক হল
  • বেশ কিছুদিন ধরে ওই দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছিলেন ওই চিকিৎসক
লন্ডন:

এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসকের যুক্তির কাছে হার মানতে বাধ্য হল ব্রিটিশ সরকার (British Government)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ডঃ নিশান্ত জোশী ব্রিটেনের হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাসজনিত (Coronavirus) চিকিৎসার জন্যে চিকিৎসকদের হাতে আরও ভাল ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই কিট) তুলে দেওয়া উচিত বলে জোরদার প্রচার চালান। এরপরেই ব্রিটিশ সরকার চিকিৎসকদের (Coronavirus In Britain) সুরক্ষার জন্যে সার্জিক্যাল মাস্ক দেওয়ারটা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে। যেভাবে ব্রিটিশ সরকার গুরুত্ব বুঝে করোনা সংক্রান্ত গাইডলাইনে পরিবর্তন এনেছেন তাতে সরকারের তারিফ করেন ওই চিকিৎসক (Indian Orijin Doctor)। গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, ৩১ বছর বয়সী ডঃ যোশী (Dr. Nishant Joshi) জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) এর অধীনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার আওতায় থাকা চিকিৎসকও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। পিপিই কিটের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের হাসপাতালগুলোতে, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পাচ্ছেন না ব্রিটেনের চিকিৎসকরা, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়গুলো নিয়ে জোরদার প্রচার করেন তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসা কর্মীদের উন্নত সুরক্ষা-সরঞ্জামের জন্যে সরকারি তরফে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকারও দাবি তোলেন ওই চিকিৎসক। তারপরেই নড়েচড়ে বসে রানির দেশ।

ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬২, ২৪ ঘন্টায় আক্রন্তের সংখ্যা ৪৭৮ জন: ১০টি তথ্য

দক্ষিণ পূর্ব ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারে পেশায় চিকিৎসক হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ওই চিকিৎসক বলেন, "এটা আমাদের জন্যে একটা বড় জয়। আপনি খেয়াল করলে দেখতে পারবেন গত কয়েকদিন ধরে আমরা এই পিপিই কিটের জন্যে কীভাবে জোরদার দাবি তুলেছিলাম। আনন্দের কথা এই যে শেষপর্যন্ত আমরা এই যুদ্ধে জিতেছি।"

করোনা-মৃতদেহ থেকে সংক্রমণের কোনও ঝুঁকি নেই, জানাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর

ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত গাইডলাইনগুলো আপডেট করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে সেখানকার সব হাসপাতালে চিকিৎসারত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত বিশেষ মাস্ক সরবরাহ করতে হবে। ওই মাস্ক যেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যবহার করেন সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেখভাল বা চিকিৎসার সময় এই এফএফপি-২ মাস্কটি ব্যবহার করা আবশ্যিক।

বেডফোর্ডশায়ারে এনএইচএস হাসপাতালের জরুরী পরিষেবায় কর্মরত ডঃ জোশী অবশ্য এ প্রশ্নও তোলেন যে কেন ব্রিটিশ সরকার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় শুরুতেই এই জাতীয় বিধি তৈরি করেনি। পাশাপাশি নতুন এই নিয়মের ফলে যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই এড়ানো যাবে সেকথাও উল্লেখ করে দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই চিকিৎসক।

.