শনিবারও মন্ত্রিগোষ্ঠীকে নিয়ে নিজের বাসভবনে একটি বৈঠক করেন রাজনাথ সিং (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হয়েছে
- এরপর লকডাউন আদৌ তোলা হবে কিনা তা নিয়ে পদক্ষেপ করতেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক
- মঙ্গলবার বিকেলে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসছেন মন্ত্রীরা
নয়া দিল্লি: ৩ মে পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন (Coronavirus India Lockdown) জারি রাখার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে আদৌ ওই দিনের পর লকডাউন তোলা হবে নাকি বজায় থাকবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে মন্ত্রিগোষ্ঠী (GoM Meeting)। শুধু তাই নয়, মে মাসের ৩ তারিখের পর লকডাউনের মেয়াদ শেষও যদি হয়ে যায় তাহলেও পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। যে এলাকাগুলো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হটস্পট বলে চিহ্নিত হয়েছে সেখানে অনেক বেশি করে কড়াকড়ি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর যে জায়গাগুলোতে এখন COVID-19 সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি সেখানকার পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত অনেকটাই শিথিল করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে লকডাউন উঠে গেলেও এখনও দেশের সব জায়গাতেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং মাস্ক পড়া আবশ্যিক হিসাবেই গণ্য হবে।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,০০০ ছাড়াল, মৃত ৫৯০ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জনের প্রাণহানি
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) নেতৃত্বে একদল মন্ত্রীরা মিলে জরুরি বৈঠকে বসবেন এবং সেই বৈঠকে লকডাউন তুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হবে বলেই জানা গেছে। সূত্র বলছে, আপাতত লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে-র পর বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের।
তবে যে এলাকাগুলো "গ্রিন জোনস" বা করোনা সংক্রমিত অঞ্চল নয়, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সেখানকার মানুষ অনেকটাই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারলেও বাকি জায়গায় অর্থাৎ অতি সংক্রমিত এবং অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত অঞ্চলগুলোতে বহু বিধিনিষেধ আরোপ করা থাকবে বলেই ইঙ্গিত মিলছে।
লকডাউনের মধ্যে বাড়ি পৌঁছতে চেয়ে টানা ৩ দিন হাঁটার পর পথেই মৃত্যু কিশোরীর
কিছু কিছু জায়গায় জেলা বা শহরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে গণপরিবহণ চালু করা হতে পারে। লকডাউনের মেয়াদ শেষে বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও তাঁদের মাস্ক পরা আবশ্যিক। পাশাপাশি বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বও। যে অফিসগুলোতে কাজ শুরু হবে সেখানেও একই নীতি ও অনুশাসন মেনে কাজ করতে হবে।
তবে লকডাউনের পরেও যে কোনও ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে; কোনও বিবাহ অনুষ্ঠান, ধর্মীয় জমায়েত এবং অন্যান্য বড় সভা সমাবেশের বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই।
তবে লকডাউন উঠে গেলেও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শহরগুলি যেমন মুম্বই, দিল্লি, নয়ডা এবং ইন্দোরে বহু বিধিনিষেধ আরোপ করা থাকবে বলেই খবর। এমনকী এই সব অতিসংক্রমিত অঞ্চলগুলোতে লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সম্ভাবনাও থাকছে।
প্রতিদিনই একের পর এক মানুষের প্রাণ কাড়ছে করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত ভারতে একদিনে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জীবন নেওয়ার রেকর্ড গড়ল COVID- 19। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্র্কের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনার প্রকোপে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এদেশে করোনা আক্রান্ত মোট ১৮,৬০১ জন। এর মধ্যে মোট ৫৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই মারণ রোগের কারণে। এদিকে একদিনের মধ্যে আরও ১,৩৩৬ জন মানুষ করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। ফলে সব মিলেয়ে আতঙ্ক বাড়ছে বই কমছে না।