ICMR করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিনের সূত্রটিই তুলে ধরেছে, ওই দেশ বলছে বাদুড় থেকেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস
হাইলাইটস
- চিন বলছে বাদুড় থেকেই মানুষের দেহে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ: ICMR
- যদিও এমন ধরণের সংক্রমণ হাজার বছরে একবার হতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা
- বর্তমানে গোটা বিশ্বে কমপক্ষে ২০ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস, কীভাবে কোথা থেকে এই ভাইরাস (Coronavirus) মানুষের শরীরে বাসা বাঁধল আর কীভাবেই বা তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তবে এবার করোনা সংক্রমণের উৎস নিয়ে চিনের সূত্রই তুলে ধরলো ভারতের শীর্ষ চিকিৎসা সংস্থা ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (ICMR)। চিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে COVID-19 মহামারির উৎস আসলে বাদুড়। তাদের থেকেই ওই রোগ মানুষের দেহে ছড়িয়েছে। এই সূত্র অনুযায়ী আইসিএমআরের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ রমন আর গঙ্গাখেড়কর বলছেন, "চিনের একটি গবেষণা অনুসারে, মনে করা হচ্ছে যে এই করোনা ভাইরাস বাদুড়ের মধ্যে থেকেই মানুষের শরীরে এসেছে"। "এমনও একটি সম্ভাবনা রয়েছে যে প্রথমে ওই ভাইরাস বাদুড়ের থেকে প্যাঙ্গোলিনের শরীরে ছড়ায়। যেহেতু চিনে পাঙ্গোলিন খাওয়া হয় তাই মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেও এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে", বলেন তিনি।
দেশে করোনার শিকার মোট ৪১৪, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২,৩৮০
আইসিএমআরের প্রধানের মতে হাজার বছরের মধ্যে একবার এইভাবে বাদুড়ের থেকে মানুষের দেহে রোগ সংক্রমণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। "করোনা ভাইরাস যেভাবে বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে তা যদি সত্যি হয় তবে এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। হাজার বছরের মধ্যে একবার এভাবে কোনও ভাইরাস নিজের চারিত্রিক ধরণ পরিবর্তন করে আরও শক্তিশালী হয়ে এমন সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে", বলছেন তিনি।
অনেকেই যদিও বলছেন, চিনের উহানেরই একটি বাজারে বিক্রি হওয়া প্যাঙ্গোলিনের মাংস খেয়েই সেখানকার মানুষের মধ্যে ওই ভাইরাস বাসা বাঁধে, তবে তাতে দ্বিমত পোষণ করেছেন বহু বিশেষজ্ঞরাই। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আরও সমীক্ষা চালানোর কথাই বলছেন।
রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৭, মোট সংক্রমিত ১৩২ জন
যদিও আইসিএমআর করোনা ভাইরাস নিয়ে চিনের সূত্র তুলে ধরলেও তাঁরা একথাও বলছে, ভারতে বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এমন কোনও উদাহরণ তাঁরা খুঁজে পাননি। "আমরা যেমন নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করার সময় দেখেছি, অনেক ভারতীয় প্রাণীরই ওই ভাইরাস আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি যে দুই ধরণের বাদুড় আমাদের দেশে রয়েছে তারা করোনা ভাইরাস বহনে সক্ষম হলেও তা মানুষকে প্রভাবিত করার মতো শক্তিশালী নয়", সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন আইসিএমআরের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ রমন আর গঙ্গাখেড়কর।