This Article is From Apr 21, 2020

করোনায় মৃত ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে ধুন্ধুমার, আহত ২০ জন পুলিশকর্মী

COVID- 19: আলিপুরদুয়ারের শালকুমার এলাকায় তিস্তা নদীর ধারে শেষকৃত্য ঘিরে স্থানীয় মানুষজনের ঝামেলা, থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

করোনায় মৃত ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে ধুন্ধুমার, আহত ২০ জন পুলিশকর্মী

West Bengal: সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ৭৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে (প্রতীকী চিত্র)

হাইলাইটস

  • করোনার জেরে মৃত এক ব্যক্তির দেহের শেষকৃত্য ঘিরে ঝামেলা
  • তিস্তার তীরে ওই দেহটি পুঁতে দিতে যায় স্থানীয় পুলিশ
  • এই ঘটনাকে ঘিরেই জনতার রোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপর
আলিপুরদুয়ার/মালদহ/কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) আলিপুরদুয়ারে করোনা আক্রান্ত (COVID- 19) এক মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। মারমুখী জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে আহত হন কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ কর্মী (Bengal Cops)। উত্তেজিত জনতার অভিযোগ করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির দেহ সবার অজান্তেই সাবাড় করে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল প্রশাসন। সোমবার ভোরে শালকুমারহাট এলাকায় তিস্তা নদীর তীরে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে একদল পুলিশকর্মী সোমবার মাঝরাতে COVID- 19 আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর দেহ গোপনে তিস্তার চরে পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই ঘটনাই হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। রীতিমতো তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে স্থানীয়দের। অভিযোগ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশের তরফ থেকে গুলিও চালানো হয়, যাতে আহত হন এক স্থানীয় যুবক। 

লকডাউন ওঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠকে বসছে মন্ত্রীগোষ্ঠী

জানা গেছে, জনরোষ এমনভাবেই আছড়ে পড়ে যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের তিনটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষপর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে বাঁচেন তাঁদের কর্মীরা।

সকলের অগোচরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে আড়াল করতেই তিস্তার চরে পুঁতে দেওয়া হচ্ছিল ওই দেহ, স্থানীয়দের এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং যাঁরা এই ঝামেলা পাকিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে। এমনকী পুলিশের গুলি চালানোর কথাও অস্বীকার করেন তিনি। পুলিশ সুপার জানান, গুলি চালানোর পেছনে কে বা কারা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার প্রস্তুতি তদারকি করতে মালদহ সফরে আসা পুলিশের মহা নির্দেশক বীরেন্দ্র বলেন, জনতার আক্রমণে ২০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর। তিনি বলেন যে পুলিশের উপর এই ধরণের হামলা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর মতে, মৃতের শেষকৃত্য নিয়ে যদি স্থানীয়দের কোনও অভিযোগ থাকে তবে তাঁদের উচিত ছিল স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে গিয়ে কথা বলা। 

রাষ্ট্রপতি ভবনেও করোনা মৃত্যুদূতের হানা, কোয়ারান্টাইন করা হল ১০০-রও বেশি মানুষকে

এদিকে, করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। লকডাউনের এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে নানা অভিযোগে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কলকাতায় মোট ৭৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি মোট ১৪ টি গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, কারণ লকডাউনের মধ্যেই তারা রাস্তায় বের হয়েছিল। পুলিশ তাঁদের বেরোনোর কারণ জিজ্ঞেস করলে গাড়ির চালকরা যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় সেগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.