Coronavirus in India: ৪ অগাস্ট থেকে দেশে দৈনিক সংক্রমণের ঘটনা বিশ্বের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে
নয়া দিল্লি:
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক করোনা ভাইরাসের (Coronavirus in India) দাপটের যে পরিসংখ্য়ান তুলে ধরলো তাতে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের সংক্রমণের (Coronavirus) রেকর্ড গড়েছে এটি। তথ্য অনুসারে, ভারতে নতুন ৭৬,৪৭২ জন নতুন কোভিড (Covid-19) রোগীর সন্ধান মিলেছে। ফলে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ভারতে নতুন সংক্রমণের পরিমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল। তবে দেশে ২৬,৪৮,৯৯৮ জন রোগী এই সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে, ফলে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে ৭৬.৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। মোট করোনা সংক্রমণের বেশীরভাগ রোগীর সন্ধান মিলেছে মহারাষ্ট্রে, সেখানে মোট আক্রান্ত ৭,৪৭,৯৯৫ জন। দেখা যাচ্ছে গত ৪ অগাস্ট থেকে বিশ্বে সাম্প্রতিক দৈনিক সংক্রমণের বিচারে শীর্ষে রয়েছে ভারত।
দেখে নিন এ বিষয়ে ১০ টি তথ্য:
শুক্রবার মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৪,৮৫৭ জন, ফলে ওই রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৭,৪৭,৯৯৫ জন হয়েছে। রাজ্যের ১০৬ জন পুলিশ কর্মী কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণের হিসাবে যে রাজ্যগুলো রয়েছে তারা হলো তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটক।
শুক্রবার তামিলনাড়ুতে ৫,৯৯৬ জন নতুন কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, এটিই এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য। তামিলনাড়ুতে মোট ৪,০৯,২৩৮ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে কোভিড আক্রান্ত মানুষের মোট সংখ্যা ৪ লক্ষ পেরিয়ে গেছে। এই নিয়ে পরপর ৪ দিন ১০,০০০ এরও বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছে।
প্রতিবেশী রাজ্য তেলেঙ্গানাতেও শুক্রবার ২,৯৩২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে এবং ১,৫৮০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৭,৪১৫ জন।
এদিকে দিল্লিতে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার, দেশের রাজধানীতে ১,৮০৮ টি নতুন সংক্রমণের খবর মিলেছে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যাটি ১.৬৯ লক্ষেরও বেশি হয়ে গেছে। এই রোগের কারণে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৩৮৯ জনে। এই নিয়ে অগাস্ট মাসে পরপর ২দিন ১,৮০০ রও বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৫ মাসে মোট করোনা আক্রান্তের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং এক-চতুর্থাংশেরও কম রোগী সক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন।
"কেন্দ্রের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং লাগাতার করোনা পরীক্ষা পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার ফলেই করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়েছে এবং প্রাণহানি কমানো গেছে". টুইটে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ।
এদিকে বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, জিএসটির নীতি নির্ধারক বৈঠকের পর বলেন যে, করোনা ভাইরাস যেভাবে মহামারী রূপে দেখা দেওয়ার পিছনে আছে "ঈশ্বরের কীর্তিকলাপ" এবং এই অপ্রত্যাশিত ধাক্কার কারণে জিএসটি আদায়ের বিষয়টি প্রভাবিত হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম নজরে আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। চিন থেকেই এই রোগ সারা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভয়ঙ্কর রোগটি সব মিলিয়ে ৮.৩১ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে। এখনও পর্যন্ত ২.৪৪ কোটিরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকারের মতে, বৃহস্পতিবার আমেরিকায় করোনা মৃত্যুর সংখ্যা ১,৮০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
Post a comment