উহান থেকে ফেরা সব ভারতীয়কেই ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হবে।
শুক্রবার বিকেলে দিল্লি থেকে চিনে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান। ওই বিমানেই করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) কেন্দ্রস্থল চিনের (China) উহানে (Wuhan) আটকে পড়া প্রায় ৪০০ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। ওই বিমানটির নাম বোয়িং ৭৪৭ জাম্বো জেট। বিমানে রাখা থাকছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিশেষ মেডিক্যাল কিট। ছ’ঘণ্টার মধ্যে সেটি চিনে পৌঁছবে। তারপর চিনে দু’ থেকে তিন ঘণ্টা কাটিয়ে বিমান রওয়ানা দেবে ভারতের উদ্দেশে। দেশে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত দু’টো বাজবে বলে জানা গিয়েছে।
রইল এ সম্পর্কে ১০ তথ্য:
উহান থেকে ফেরা সব ভারতীয়কেই ১৪ দিনের জন্য দিল্লির মানেসরের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হবে। সরকারের তকফে জানানো হয়েছে, কোনও ভাবেই সংক্রণের ঝুঁকি না নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিমানে থাকছেন পাঁছজন চিকিৎসক ও একজন সহকারী। থাকছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রস্তুত করা বিশেষ মেডিক্যাল কিট। যার মধ্যে গ্লাভস, মাস্ক ও ওষুধ রয়েছে।
চিকিৎসক ও বিমানের ক্রু সদস্যরা সকলেই নিরাপদ পোশাক পরে থাকবেন। তাঁদের বিমান ছাড়তে বারণ করা হয়েছে। কেবল মাত্র সংক্রামিত নন, এমন ব্যক্তিকেই বিমানে তোলা হবে জানা গিয়েছে।
ফেরত আসার পর বিমানের পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও চিকিৎসকদের আলাদা ঘরে রেখে দেওয়া হবে সপ্তাহখানেক। তাঁদের মধ্যে অসুখের কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু' এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য আপৎকালীন পরিস্থিতির ঘোষণা করেছে।
ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের দেখা মিলেছে বৃহস্পতিবার। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের এখ ছাত্রী, যিনি কেরলের বাসিন্দা তাঁর শরীরে ওই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে ত্রিশূরের এক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও উত্তর কেরলের হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে আরও তিন সন্দেহভাজনকে। ৮০০-রও বেশি জনকে তাঁদের বাড়িতে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এর আগে একই ধরনের লক্ষণসম্পন্ন সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০০২-০৩ সালে চিন ও হংকংয়ে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এই অসুখে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চিনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৬৯২ জন। চিন ছাড়াও আরও অন্তত ১৮টি দেশে ১০০টির মতো কেস দেখা গিয়েছে, যেখানে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তবে চিনের বাইরে এখনও করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
দেখুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের মতামত:
Post a comment