Read in English
This Article is From May 28, 2020

সতর্ক কর্নাটক, কোভিড ১৯ আক্রান্ত ৫ রাজ্যের যেকোনও পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি

মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে কোনও বিমান, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না, জানালো সেখানকার সরকার

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Coronavirus Fears: কর্নাটকে ৫ টি রাজ্যের ট্রেন চলাচল করতে দেওয়া হবে না, জানিয়ে দিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার (ফাইল চিত্র)

Highlights

  • পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানো নিয়ে কর্নাটকের কড়া অবস্থান
  • ৫ টি রাজ্য থেকে কোনওভাবেই কোনও বিমান, ট্রেন বা গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না
  • মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান হল ওই ৫টি রাজ্য
নয়া দিল্লি:

কোনওভাবেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় ঝুঁকি (Coronavirus Fears) নিতে নারাজ কর্নাটকের সরকার। প্রতিবেশী ৫টি রাজ্য থেকে কোনও বিমান, ট্রেন বা অন্যান্য যানবাহণ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা (Karnataka Travel Ban) জারি করা হল। দেশের মধ্যে মূলত যে যে রাজ্যগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে, সেই রাজ্যগুলোর সঙ্গে আপাতত কোনও যোগাযোগ রাখতে চায় না কর্নাটক সরকার। কোনওভাবেই যাতে ওই রাজ্যগুলো থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Crisis) সেখানে না ফিরতে পারে তার জন্যেই এই তৎপরতা। তাঁদের এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে মোট ৫টি রাজ্য। সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোভিড- ১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে কোনও বিমান, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন কর্নাটকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানকার বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রের পরেই দেশের অতি সংক্রামক রাজ্যগুলোর তালিকায় যেদুটো রাজ্য আছে তারা হল গুজরাট এবং তামিলনাড়ু।

পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নেওয়া যাবে না, রেল ও রাজ্যকে দিতে হবে খাবার: সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement

তবে বরাবরই নিজেদের রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্যে সতর্ক ছিল কর্নাটক সরকার। চতুর্থ মেয়াদে লকডাউন ঘোষণার পরেই ১৮ মে থেকেই মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং কেরল থেকে কোনও মানুষ তাঁদের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি পাবে না বলে ঘোষণা করে কর্নাটক। এবারে করোনা আতঙ্কে সেই সতর্কতা আরও আঁটোসাঁটো করতেই মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে কোনও বিমান, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন কর্নাটকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল সেরাজ্যের সরকার।

কষ্টের মধ্যেও "প্রথম বিমানে চড়ার আনন্দ", কিছুক্ষণের জন্যে আত্মহারা পরিযায়ী শ্রমিকরা

Advertisement

যদিও কর্নাটক সরকারের এই আদেশের পরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, কেবল দুই রাজ্যের পারস্পরিক সম্মতিতেই যাত্রীদের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া দেশকে ফের ঘুরে দাঁড় করাতে সাহসী পদক্ষেপ কিছু নিতেই হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই মতোই ২৫ মে থেকে মোদি সরকার অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের অনুমতি দেয়। তবে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রীদের করোনা আবহে কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। এদিকে বহু দিন ধরেই বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। মনে করা হচ্ছে আগামী ১ জুন থেকে সীমিত পর্যায়ে ওই ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

Advertisement