This Article is From Apr 01, 2020

করোনা আক্রান্ত তাবলিগ-ই-জামাতের সদস্যের থেকে সতর্ক থাকুন, রাজ্যগুলোকে বার্তা কেন্দ্রের

Coronavirus: দিল্লির "মার্কাজ নিজামুদ্দিন" মসজিদ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ, এখনও শরীরে COVID-19 বয়ে বেড়াচ্ছেন বহু তাবলিগ-ই-জামাতের সদস্য

করোনা আক্রান্ত তাবলিগ-ই-জামাতের সদস্যের থেকে সতর্ক থাকুন, রাজ্যগুলোকে বার্তা কেন্দ্রের

Coronavirus: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজামুদ্দিন ছেড়ে পালাচ্ছেন মানুষ

হাইলাইটস

  • দিল্লির নিজামুদ্দিনই বর্তমানে করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু
  • দেশের সমস্ত রাজ্যের সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র
  • আশঙ্কা, তবলিগ-ই-জামাতের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই হয়তো আক্রান্ত করোনায়
নয়া দিল্লি:

দিল্লির নিজামুদ্দিনের মার্কাজ মসজিদই কি তবে এই মুহূর্তে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু? অন্তত কেন্দ্রীয় সরকারের সতর্কবার্তায় তো তাই মনে হচ্ছে। মার্চের প্রথম থেকে মধ্যভাগ পর্যন্ত দিল্লির ওই মসজিদে এক বিরাট ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে তবলিগ-ই-জামাত সংগঠন। সেই সমাবেশে (Nizamuddin) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজন। এমনকী মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকেও বহু মুসলমান ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজামুদ্দিনে (Markaz Nizamuddin) আসেন। ইতিমধ্যেই প্রমাণ মিলেছে, মসজিদের ওই সমাবেশ থেকেই ব্যাপক হারে সংক্রমণ (COVID-19) ছড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তবলিগ-ই-জামাত সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের রাজ্যে ফিরে গেছেন। ফলে ওই ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু মানুষও যদি করোনা সংক্রামিত হন, তবে তাঁদের থেকে হু-হু করে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে অন্যের শরীরেও। তাই তবলিগ-ই-জামাত সদস্যের থেকে সতর্ক থাকুন, তাঁদের খুঁজে বের করুন, দেশের সব রাজ্যের সরকারকে এমনটাই নির্দেশ দিল কেন্দ্র। 

ইতিমধ্যেই ওই মসজিদের সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে কমপক্ষে ১২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।  

দিল্লির চিকিৎসক আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে, সংক্রমণের ভয়ে বন্ধ হাসপাতাল

এখনও পর্যন্ত ওই জন সমাবেশে অংশ নেওয়ার পরে তামিলনাড়ুতে ৫০ জন, দিল্লিতে ২৪ জন, তেলেঙ্গানায় ২১ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ২১জন, আন্দামানে ১০ জন এবং অসম এবং জম্মু ও কাশ্মীরে একজন করে মুসলিমের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এই সমাবেশে যোগ দেওয়া মোট ৮২২ জন বিদেশি বিভিন্ন রাজ্যেও ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। এবার তাঁদের বিবরণও বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রধানদের জানানো হয়েছে বলে খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ উপেক্ষা করেই অসংখ্য মানুষ ৮ মার্চ থেকে ১০০ বছরের ওই পুরনো মসজিদ কমপ্লেক্সে জড়ো হয়। ২১ মার্চ, সেখানে মোট ১,৭৪৬ জন মানুষ ছিলেন, যার মধ্যে ২১৬ জন বিদেশিও ছিলেন। ওই বিদেশিদের থেকেও রাজ্যগুলোর পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

"মুসলিমদের দোষারোপের অজুহাত মাত্র", দিল্লির মসজিদ থেকে করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে বললেন ওমর আবদুল্লা

"এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে. যদি এমন কোনও বিদেশির খোঁজ মেলে যিনি তবলিগ-ই-জামাতের সদস্য, তবে তৎক্ষণাৎ তাঁকে বা তাঁদের পুরোপুরি শারীরিক পরীক্ষা বা স্ক্রিন করে দেখতে হবে দেহে করোনা বাসা বেঁধেছে কিনা। যদি প্রয়োজন হয় তবে তাঁকে বা তাঁদের আলাদা করে রাখা হবে বা হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলোর দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে যাতে কোনও করোনা আক্রান্ত পালাতে না পারে" দেশের সব রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং পুলিশ প্রধানদের প্রতি একটি চিঠিতে এমন নির্দেশই দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

.