করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) কারণে, ২২ মার্চ থেকে ভারতের মাটিতে অবতরণ করতে পারবে না কোনও আন্তর্জাতিক বিমান (International Flights), মারণ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই পদক্ষেপ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক এবং সরাকরি কর্মচারি ছাড়া বাকি ৬৫ বছরের ঊর্দ্ধে সমস্ত ব্যক্তিকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১০ বছরের নিচে শিশুদেরও বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। পড়ুয়া, রোগী এবং বিশেষভাবে সক্ষম ছাড়া বাকি সমস্ত ছাড় পাওয়া পরিবহন স্থগিত করতে বলা হয়েছে রেল এবং বিমানকে। রাজ্যগুলিকে বাড়ি থেকে কাজের নিদান দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৮টি নতুন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে, ফলে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এদিনই জার্মানি থেকে ফেরা ৭০ বছর বয়সী পঞ্জাবের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, ফলে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল চার।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত ৮,০০০ মানুষের প্রাণ গিয়েছে, এবং দুলক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের অর্ধেক জনকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
করোনা ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ভারত, স্থানীয় সংযোগের ফলে সংক্রমণ ঘটতে পারে, যা ধরা যায়।
কোনও গোষ্ঠীর মধ্যে এখনও ছড়িয়ে পড়ার খবর নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, যাতে বোঝা যায়, সংক্রামিতের সঙ্গে কীভাবে রোগীর সংযোগ হয়েছিল।
দেশজুড়ে, স্কুল, কলেজ সিনেমা হল, শপিং মল সহ বিভিন্ন জমায়েতপূর্ণ এলাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। ধর্মীয় জমায়েত এবং বিয়ের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। গুরগাঁও, মুম্বইয়ের মতেো এলাকায় ৫০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ২৫ জন বিদেশি নাগরিকদের তেকে, তাতে ১৭ জন ইতালির, তিনজন ফিলিপিন্সের, দুজন ব্রিটেনের, একজন কানাডা, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের একজন করে রয়েছেন। পঞ্জাব, দিল্লি, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র থেকে একজন করে, মোট চারজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।