Nirmala Sitharaman: অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা সঙ্কট মোকাবিলাই এখন প্রধান লক্ষ্য
হাইলাইটস
- দেশে লাগাতার বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ, ফলে উদ্বেগে সরকার
- আপাতত করোনা মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলোতেই জোর দিতে চাইছে অর্থমন্ত্রক
- চলতি বছরে নতুন কোনও সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা নয়, জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী
নয়া দিল্লি: করোনা (Coronavirus) সঙ্কটের কারণে চলতি বছরে কোনও নতুন সরকারি প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হবে না, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry)। ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন চালিয়েও কোভিড- ১৯ (COVID -19) সংক্রমণকে রোখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আপাতত করোনা সঙ্কটের মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য, তাই নতুন করে আর সরকারি কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করার কথা ভাবা হচ্ছে না, জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। সমস্ত মন্ত্রককে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, নতুন কোনও প্রকল্পের জন্যে যেন তারা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে সমস্ত সুপারিশ করা বন্ধ করে দেয়।
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্যাফে থেকে অফিস, সব জায়গাতেই মানতে হবে এই নিয়ম
কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা এবং আত্মনির্ভর ভারতের নীতিমালার আওতায় যে যে ঘোষণাগুলি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেগুলির পিছনেই এখন খরচ করার অনুমতি দেওয়া হবে, অন্য কিছুতে নয়, শুক্রবার জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "কোভিড -১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের কাছে এখন টাকার খুবই প্রয়োজন। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেই সংস্থানগুলি করার দিকেই জোর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে" ।
এমনকী বাজেটের আওতায় থাকা অনুমোদিত প্রকল্পগুলিকেও আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হল বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। তবে একথাও বলা হয়েছে যে, এই অবস্থানের থেকে ব্যতিক্রমী কোনও পদক্ষেপ নিতে হলে তার অনুমোদন নিতে হবে সরকারের থেকে।
দেশে কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯৮৫১ জন, আর মারা গেছেন ২৭৩ জন। সব মিলিয়ে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত মোট ২,২৬,৭৭০ জন। করোনা ভাইরাস এদেশে প্রাণ কেড়েছে মোট ৬,৩৪৮ জনের।
করোনা সতর্কতায় ধর্মীয় স্থানগুলোতে বন্ধ থাকছে প্রসাদ ও চরণামৃত বিতরণ, গাওয়া যাবে না প্রার্থনা সঙ্গীতও
তবে একটাই আশার কথা যে, দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও তার পাশাপাশি বাড়ছে পুনরুদ্ধারের হারও। ১,০৯,৪৬২ জন মানুষ কোভিডের কবলে পড়েও চিকিৎসা সহায়তায় ওই রোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন। দেশে করোনা পুনরুদ্ধারের হার তাই ৪৮.২৭ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে।
কোভিড মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, ব্রিটেন, স্পেন এবং ইতালির পরে ভারত সপ্তম স্থানে রয়েছে। অবশ্য মৃত্যুর হারের বিচারে ভারত বর্তমানে দ্বাদশ স্থানে রয়েছে এবং রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে এটি অষ্টম স্থানে রয়েছে। তবে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর হিসাবে ভারত বিশ্বের সব দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে এখন।