This Article is From Apr 23, 2020

করোনা সংক্রমণ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা আসার ৫৭ টি রাস্তা সিল করল ওড়িশা পুলিশ

Coronavirus: ওড়িশার ৮৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরই নাকি পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে, বলছে সে রাজ্যের সরকার

করোনা সংক্রমণ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা আসার ৫৭ টি রাস্তা সিল করল ওড়িশা পুলিশ

Coronavirus Lockdown: করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে ৩ মে পর্যন্ত জারি রাখা হয়েছে লকডাউন (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • পশ্চিমবঙ্গ থেকেই ওড়িশায় আরও বেশি করে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে
  • এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা আসার রাস্তাগুলো সিল করা হল
  • ওড়িশায় বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩, জানিয়েছে পট্টনায়েক সরকার
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে ওড়িশায়, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করল সেখানকার (Odisha) নবীন পট্টনায়েক সরকার। লকডাউন চলাকালীনই (Coronavirus Lockdown) কিছুদিন আগেই কলকাতা থেকে সে রাজ্যে ফিরেছে এমন আরও ৪ জনের শরীরে COVID-19 পজিটিভ থাকার প্রমাণ মিলেছে। আর এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে ওড়িশা সরকার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাতে কোনওভাবেই নবীন-রাজ্যে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) ছড়াতে না পারে তার জন্যে পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাওয়ার ৫৭ টি রাস্তা সিল করে দিল ওড়িশা পুলিশ। এমনকী রাস্তা পুরোপুরি আটকানোতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তা খতিয়ে দেখতে চেক গেট পরিদর্শন করেন ওড়িশার ডিজিপি অভয়। ওড়িশা সরকারের অভিযোগ তাঁদের রাজ্যে নতুন করে যে ৪ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁরা সকলেই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা থেকে ওড়িশায় ফিরে আসেন।

কলকাতায় "লকডাউন" পরিস্থিতি খতিয়ে দেখায় মেলেনি রাজ্যের সহযোগিতা, অভিযোগ কেন্দ্রীয় দলের

কিন্তু দেশ জুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশায় পৌঁছলেন তাঁরা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওড়িশা সরকারের করোনা পরিস্থিতির মুখপাত্র সুব্রত বাগচী বলেন যে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা সীমান্তটি ২০২ কিলোমিটার দীর্ঘ, অত বড় এলাকাটি পুরোপুরি নজরে রাখা সম্ভব হয়নি বলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই গোটা সীমান্ত অঞ্চল সিল করে দেয় ওড়িশা প্রশাসন, বন্ধ করে দেওয়া হয় মোট ৫৭ টি পথ। ওড়িশা সরকারের আধিকারিক অবশ্য বলেন, ওড়িশার ৮৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরই পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। 

লক্ষ্মণনাথ এবং উদয়পুর ক্রসিংয়ে দুটি প্রধান চেক গেট ছাড়াও ওড়িশার বালাসোর এবং মায়ূরভঞ্জ জেলা হয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার কমপক্ষে ৯০ টি রাস্তা রয়েছে। একজন উর্ধ্বতন পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে আটকে পড়া মানুষজন ওড়িশায় প্রবেশের জন্যে এই রাস্তাগুলিই ব্যবহার করছিলেন। বালাসোর জেলার মধ্যে দিয়ে এইরকম ৩৭ টি রাস্তা রয়েছে, অন্য ২২ টি রাস্তা আবার ময়ূরভঞ্জকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এবার তাই ওইসব রাস্তাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ রাস্তাই ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হল।

 "উনি বিরাট উচ্চতার মানুষ": রাজ্যপালের টুইটের পর কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

ওড়িশার পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশার ভূখণ্ডে কারও প্রবেশ ঠেকাতে নির্দিষ্ট প্রবেশপথগুলিতে সশস্ত্র বাহিনীও মোতায়েন করেছে তাঁরা। এদিকে ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যে যাঁদের শরীরে নতুন করে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেছে তাঁদের কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বলে খবর। তাঁদের প্রত্যেকের করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্যে পরীক্ষা করাতে হবে ।

ওড়িশার এডিজি রেলপথ এবং উপকূলীয় সুরক্ষা প্রণবিন্দু আচার্য্য জানিয়েছেন, ডিজিপি সমস্ত মেরিন পুলিশ স্টেশনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে জলপথেও কেউ অন্য রাজ্য থেকে সেরাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে। সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.