Read in English
This Article is From Apr 03, 2020

"বাস্তবটা বুঝুন": প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর আবেদনকে কটাক্ষ বিরোধীদের

Lockdown: প্রধানমন্ত্রীর প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বানকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং চিদাম্বরম সহ বিরোধীরা

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Narendra Modi: রবিবার রাত ৯টায় ঘরের সব আলো নিভিয়ে প্রদীপ বা মোমবাতি বা টর্চ বা ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

Highlights

  • আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলায় বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষের শিকার মোদি
  • বাস্তবের দিকে তাকানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
  • প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা চিদাম্বরম ও শশী থারুরও
নয়া দিল্লি:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) অন্ধকারময় পরিস্থিতি কাটাতে রবিবার রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্যে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে মনোবল একজোট করতেই ঘরের আলো নিভিয়ে ৯ মিনিটের জন্যে ওই কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি ( Narendra Modi)। তবে রাস্তায় বেরিয়ে নয়, দেশবাসীকে যার যার ঘরের বারান্দা বা দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েই ওই আলো জ্বালানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর নরেন্দ্র মোদির এই আহ্বানকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং চিদাম্বরম সহ বিরোধীরা। লকডাউন (Lockdown) চলাকালীন এই ধরণের আহ্বান শুধুই লোক দেখানো, এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।

৫ এপ্রিল রাত ৯ টায় ঘরের সব আলো বন্ধ করে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালানোর অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী

শুধু চিদাম্বরমই নন, প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের বিরুদ্ধে টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেসের আরেক নেতা শশী থারুরও। নরেন্দ্র মোদি লোক দেখানোয় বিশ্বাসী, ঘুরিয়ে এমনটাই বলতে চাইলেন তিনি। "প্রধান শোম্যানের কথা শুনলাম। কীভাবে মানুষের কষ্ট, বোঝা, তাদের আর্থিক উদ্বেগ কমিয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে কিছুই বললেন না তিনি। ভবিষ্যতের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি বা লকডাউন-পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তিনি যে বিষয়গুলি বিবেচনা করছেন সেগুলিও শেয়ার করলেন না তিনি, ভারতের ফটো-ওপি প্রাইমমিনিস্টার শুধু ফিল গুড ফ্যাক্টর নিয়েই থাকতে চান!", টুইটে মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন থারুর।

আগামী রবিবার রাতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দেশের একতা প্রমাণের বার্তা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কটাক্ষেরও শিকার হলেন প্রধানমন্ত্রী। "বাস্তবটা বুঝুন", মোদিকে উদ্দেশ্য করে টুইট করলেন ওই তৃণমূল সাংসদ।

বাদ যাননি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। দেশ লকডাউনের কারণে আর্থিক ভাবে ধুঁকছে, এই সময় দেশের আর্থিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনাচিন্তা করার জন্যেই নরেন্দ্র মোদিকে পরামর্শ দিলেন তিনি।

এর আগে ভারতে করোনা মহামারী ক্রমশই মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠার পর দু-দু'বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। তাঁর প্রথম ভাষণে, তিনি একদিনের জন্যে জনতা কারফিউ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ২৪ শে মার্চ দ্বিতীয় ভাষণে তিনি COVID-19-এর বিস্তার রোধে গোটা দেশে লকডাউন চালু করার ঘোষণা করেন।

Advertisement

রবিবার রাত ৯ টায় প্রদীপ জ্বালানোর জন্যে প্রধানমন্ত্রীর করা আবেদনের পর টুইট চেতন ভগতের

এদিকে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সমালোচনার জবাব দিলেন বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন যোগ্য অভিভাবকের মতো "দেশবাসীকে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ও আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছেন"।

Advertisement

"বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তায় হতাশ হয়েছেন। তাঁরা তথ্য, পরিসংখ্যান এবং নতুন নীতি চান। এঁরা হলেন সেই মানুষ যাঁরা তাঁদের ঘরের একটি বাচ্চা বা গৃহপালিত পশুটিকেও ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন না। তাঁকে ১৩০ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক দেশকে পরিচালনা করতে হয়", টুইট করেন বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ।

Advertisement