হাইলাইটস
- দ্বিতীয় পর্যায়ের আনলক পর্বে আরও দ্রুতগতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
- দেশে মোট ৬,২৫,৫৪৪ জন রোগী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন
- মারণ রোগটি প্রাণ কেড়েছে ১৮,২১৩ জনের
নয়া দিল্লি: দেশে মারণ রোগ করোনার (Coronavirus) দাপট কমার কোনও লক্ষণ তো নেই-ই, বরং দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শুক্রবার সকালে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে ২০,৯০৩ জনের শরীরে। এর ফলে ভারতে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা পৌঁছলো ৬,২৫,৫৪৪ এ। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত ১৮,২১৩ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ দৈত্য। দেশে চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থ হয়েছেন মোট ৩,৭৯,৮৯২ জন করোনা রোগী। এই রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার এখন ৬০.৭২ শতাংশ। দেশে বর্তমানে দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে লড়াই করছেন মোট ২,২৭,৪৩৯ জন রোগী।
কোভিড- ১৯ এর যম 'কোভ্যাক্সিন'? ৭ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু
মহারাষ্ট্রের পর দেশের মধ্যে যে রাজ্যগুলোতে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ দেখা গেছে সেগুলো হল, তামিল, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থান।
বলিউডের সরোবরে আর নেই 'সরোজ', প্রিয় কোরিওগ্রাফারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড
গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। সেরাজ্যে একদিনের মধ্যে ১,৮৬,৬২৬ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা একটি রেকর্ড। শুধু মুম্বইয়েই একদিনে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬,০০০ এরও বেশি রোগী। করোনা টেস্টে দেখা গেছে ১৮ শতাংশেরও বেশি জনের নমুনার ফল পজিটিভ এসেছে। যেভাবে বাণিজ্যনগরীতে লাগাতার সংক্রমণ বাড়ছে তা খুবই উদ্বেগজনক। প্রশাসন মনে করছে, লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার ফলেই এই সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে কোভিড- ১৯।
এদিকে তামিলনাড়ুতেও একদিনে রেকর্ড মাত্রায় সংক্রমণ হয়েছে। সেরাজ্যের হিসাবে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪,৩৪৩ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, ফলে দক্ষিণের ওই রাজ্যটিতে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৯৮,৩৯২ এ। রাজধানী চেন্নাইয়েই গোটা রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের ৬৩.৬ শতাংশ রোগী রয়েছে।
করোনা সংক্রমণের বিচারে এখন মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর পরে রয়েছে দিল্লি। দেশের রাজধানীতে মোট ৯২,১৭৫ জনেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ভারতের প্রথম প্লাজমা ব্যাংকের উদ্বোধন করেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উদ্বোধনের পর তিনি ফের একবার সকলকে প্লাজমা দান করার জন্যে আবেদন করেন।