Coronavirus Outbreak: মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করা যায় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
- শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই ভাইরাস রুখতে আলোচনা
- হোলির উৎসবে যোগ দেবেন না তিনি, আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী
নয়া দিল্লি: শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধনের (Harsh Vardhan) সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেননা ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের ভীতি গ্রাস করেছে দেশবাসীকে। ছড়াচ্ছে এই মারণ রোগকে নিয়ে নানা গুজবও। ইতিমধ্যেই দেশে ৩১ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে কীভাবে দেশে করোনা-সংক্রমণ (Coronavirus Outbreak) রোখা যায় তা নিয়ে গভীর চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী। এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (Union Health Minister Dr Harsh Vardhan) সঙ্গে আলোচনা করবেন মোদি (PM Modi)। ইতিমধ্যেই এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং হাসপাতালে ''চিকিৎসার মান'' ঠিক কতটা বজায় রাখা হচ্ছে সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে "তাজমহল সহ সমস্ত স্মৃতিসৌধ বন্ধ" রাখার সুপারিশ
করোনা ভাইরাস বিশ্বের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে উঠে এসেছে এবং সবাইকে একসঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, সম্প্রতি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এখনও পর্যন্ত ৬০টি দেশে তা ছড়িয়েছে, এবং ৯০,০০০ মানুষ আক্রান্ত। ভারতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩১-এ পৌঁছেছে। ফলে দেশের ২১টি বড় শহরে কড়া নজরদারি শুরু করা হয়েছে, সমস্ত বিমানবন্দরেও চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। গত দুমাসে এখনও পর্যন্ত দেশের বিমানবন্দরগুলিতে ৬ লক্ষ মানুষের করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
ইতালি থেকে ফেরা রাহুল গান্ধিরও করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা হোক: বিজেপি সাংসদ
সংসদে করোনা ভাইরাস রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "করোনার প্রকোপ থেকে দেশ তথা নাগরিকদের রক্ষা করতে মন্ত্রক বদ্ধপরিকর। দেশবাসীকে সচেতন করতেও উদ্যোগ নিয়েছে আমার মন্ত্রক। আমি চাই দল-মত নির্বিশেষে এই সঙ্কটের সময়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা হোক"।
ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আগত যাত্রীদের দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। চিন, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালিতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে সমস্ত ভারতীয়কে। আক্রান্ত দেশগুলিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যেতে বারণ করা হয়েছে সরকারের তরফে। এক্মতার এসব দেশের রাষ্ট্রও নেতা ও কূটনীতিবিদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। ছাড় পেয়েছেন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কূটনীতিবিদরা।
সর্দি ও কাশির দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে করোনা ভাইরাস, চিকিৎসকরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ন্যূনতম সংস্পর্শ রেখে চলারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘনঘন হাত ধোয়া এবং হাঁচি বা কাশি হলে মুখ মুছতে নতুন টিস্যু ব্যবহার করার কথাও বলা হয়েছে। এর ফলে ভাইরাস সহজে ছড়িয়ে পড়বে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)