West Bengal: রাজ্যে লাগাতার বাড়ছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা, উদ্বেগে মানুষ
হাইলাইটস
- রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও
- সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হল কলকাতা, সেখানে ক্রমেই ছড়াচ্ছে ওই রোগ
- এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়াতেও বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা
কলকাতা: অত্যন্ত সংক্রামক করোনা ভাইরাস (Coronavirus Cases) সারা বিশ্বের মতো ভারতেও হামলা করেছে। এই মারাত্মক রোগের (COVID- 19) ছড়িয়ে পড়া রুখতে প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে লকডাউন জারি রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যেও যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ক্রমশই কনটেইনমেন্ট জোনগুলির সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তা সবার কাছেই তীব্র আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১৬, অর্থাৎ বিশ্লেষণ করে দেখতে গেলে, যেখানে গত ২৮ এপ্রিলও রাজ্যে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৩৪৮ টি, তা এই কদিনেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগেও যেখানে কলকাতার ৩১৮টি এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, শুধু গত সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে আরও ৯১ টি অতিরিক্ত এলাকা কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। একদিনের মধ্যে রাজ্যে COVID-19 আক্রান্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে; এবং ৬১ জন নতুন করোনা রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এই সবকিছুই কপালে ভাঁঁজ ফেলছে রাজ্যের মানুষের।
লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় "অ্যাকশন প্ল্যান" তৈরি করছে কেন্দ্র
কলকাতা ছাড়াও, রাজ্যে হটস্পট বা রেড জোন হিসাবে আরও যে দুটি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তা হ'ল হাওড়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা। হাওড়ার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা আগের ৫৬ টি থেকে বেড়ে এখন ৭৪ টি হয়েছে; উত্তর ২৪ পরগনাতে এখন কনটেইনমেন্ট জোন বেড়ে ৮১ তে পৌঁছে গেছে। অথচ এই জেলাতে গত সপ্তাহেই ছিল ৫৭টি কনটেইনমেন্ট জোন। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে কেমন দ্রুতহারে পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহার মতে, গত দশ দিনে যেসব করোনা আক্রান্ত মানুষজনের সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলার।
অন্য ৫টি জেলায় কনটেইনমেন্ট জোনগিলোর মধ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় রয়েছে ১টি, নদিয়ায় ২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ৯টি এবং হুগলিতে ১৮টি। হুগলিতে এতগুলো কনটেইনমেন্ট জোন থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের দশটি হটস্পট জেলার কেন্দ্রীয় তালিকায় যদিও হুগলির নাম নেই।
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যে গলদ রয়েছে স্বীকারোক্তি রাজ্য সরকারের
রাজ্য সরকার তাই এই তালিকাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং দাবি করেছে যে কেন্দ্র বিচার বিশ্লেষণ না করেই নিজস্ব সংজ্ঞা অনুসারে রাজ্যের শুধুমাত্র ৪টি জেলাকেই হটস্পট তালিকায় রেখেছে।
মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন যে হটস্পট জেলাগুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রথম একটি তালিকা তৈরি করেছিল। অন্যদিকে রেড জোনের তালিকাটি তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সেই কারণেই দুটি তালিকার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়ে গেছে। তবে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে তাতে ভবিষ্যতে আরও বড় আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে আসছে বলেই মনে করছেন অনেকে।