দুবছরের জন্য টেলিভিশন, খবরের কাগজ বা কোনওরকম অনলাইন মিডিয়াতে সরকারি বিজ্ঞাপনও বন্ধ রাখতে বলেন সনিয়া গান্ধি,
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধামন্ত্রী আহ্বানে সাড়া সনিয়া গান্ধির
- চিঠিতে, “পাঁচটি দৃঢ় প্রস্তাব” দেন তিনি
- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বিদেশযাত্রাও স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেন তিনি
নয়াদিল্লি: সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করুন, “দিল্লির সৌন্দর্যায়নের জন্য” ২০,০০০ কোটি টাকার ব্যয় করার প্রকল্প বাতিল করুন, আধিকারিকদের বিদেশযাত্রা স্থগিত করুন, করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে প্রধাননমন্ত্রীর আহ্বানে প্রস্তাব হিসেবে বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi )। সাংসদদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানোর ঘোষণার একদিন পরেই এই চিঠি। সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে “পাঁচটি ভাল প্রস্তাব” দেন সনিয়া গান্ধি। কেন্দ্রীয় ভিস্তার সৌন্দার্যয়নের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাতিল করার জন্যও সরকারকে অনুরোধ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। চিঠিতে তিনি লেখেন, “এই রকম একটি সময়ে, এই ধরণের ব্যয়কে অন্তত আত্ম-অসংযমী বলা যায়। আমি নিশ্চিত যে, চলতি ভবনটিতেই ভালভাবে চলবে সংসদ। এই সঙ্কট না চললা পর্যন্ত ভবনটির পুনর্নির্মাণ করার কোনও তাড়াহুড়ো নেই”।
সনিয়া গান্ধি বলেন, এই অর্থ নতুন হাসপাতাল এবং ওষুধের দোকান পরিকাঠামো তৈরির কাজে ব্যয় করা যেতে পারে, পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের (COVID-19) মোকাবিলায় নামা কর্মীদের সরঞ্জাম এবং আরও সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে।
আগামি দুবছরের জন্য টেলিভিশন, খবরের কাগজ বা কোনওরকম অনলাইন মিডিয়াতে সরকারি বিজ্ঞাপনও বন্ধ রাখতে বলেন সনিয়া গান্ধি, শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য ছাড়ায
তিনি বলেন, “বছরে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের খাতে ১,২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে কেন্দ্রীয় সরকার (তারমধ্যে নয় সমান বা বড় অঙ্কের টাকা যা পাবলিক সেক্টর এবং সরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে সমানভাবে ব্যয়), এই সমান অঙ্কের টাকা ব্যয় করা যেতে পারে অর্থনীতি এবং সামাজিক জীবনে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের মোকাবিলায়”।
সরকারি খরচের থেকেও সমান অনুপাতে ৩০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তাঁর কথায়, “এই ৩০ শতাংশ (যা বছরে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা) পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক সুরক্ষার জন্য ব্যয় করা যেতে পারে, পাশাপাশি শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মতো অসংগঠিতদেরও আর্থিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় করা যাবে”।
সনিয়া গান্ধির পরবর্তী প্রস্তাব, “রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী ও আমলাদের বিদেশযাত্রা স্থগিত রাখতে হবে”। তিনি বলেন, “এই ৩৯৩ কোটি টাকার অর্থ (গত পাঁচ বছরে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিদেশযাত্রার খরচ) করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় খরচ করা যেতে পারে”
কংগ্রেস সভানেত্রী এও বলেন যে, “দক্ষতা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং অডিট সুনিশ্চিত করতে” পিএম কেয়ারের সমস্ত অর্থ প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে স্থানান্তরিত করতে হবে।
ত্রাণ তহবিল বিলি করতে দুটি কেন্দ্র তৈরি করাকে “প্রচেষ্টা এবং সম্পদের অপচয়” বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভানেত্রী, পাশাপাশি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের ৩,৮০০ কোটি টাকা ব্যবহার না হয়ে পড়ে রয়েছে।