করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ সারা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও। এই সঙ্কটের সময়ে যখন রাজনৈতিক ভেদাভেদের উপরে উঠে হাতে হাত মিলিয়ে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার কথা শাসক-বিরোধী সকলের, ঠিক তখনই রাজ্যের (West Bengal) নানা প্রান্ত থেকে প্রায়ই নানা সংঘর্ষের খবর সামনে আসছে। এবার কোভিড- ১৯ (COVID- 19) আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারান্টাইন করে রাখা নিয়েও শুরু হল দ্বন্দ্ব। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্তিতে একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে কোভিড- ১৯ সন্দেহে যাঁদের রাখা হয়েছে তাঁদের দেখভাল ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে এবং তা নিয়েই প্রথমে বাদানুবাদ ও পরে সংঘর্ষ বাঁধে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) -এর মধ্যে।
রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু, নতুন ৩৪০ জনের শরীরে সংক্রমণ
জানা গেছে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক ওই সংঘর্ষ চলাকালীন যে বিদ্যালয় ভবনে কোয়ারান্টাইন সেন্টারটি করা হয়েছিল, সেটিতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ফলে বেশ ভালো রকম ক্ষতি হয়েছে সেটির।
আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, অভিযোগ বিজেপির
স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে যাঁদের রাখা হয়েছে তাঁদের ঠিকমতো দেখভাল করা হচ্ছে না, শুধুই স্বাভাবিক জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। যদিও বামেদের তোলা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ওই বিষয়টি নিয়েই ঘাসফুল ও কাস্তে হাতুড়ির দলের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে তা ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষের রূপ নেয়।
ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে যায় এবং প্রাথমিকভাবে ১২ জনকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবারের একটি আদালতে হাজির করে। তাঁদের আগামী ৪ দিনের জন্যে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)