This Article is From Apr 06, 2020

লকডাউনের জেরে আর্থিক ক্ষতি সামলাতে আরও ত্রাণ বরাদ্দের বিবেচনা করছে কেন্দ্র

Coronavirus: ১৫ এপ্রিল, লকডাউন ওঠার পরবর্তী দিন থেকেই বিবেচনা করে দেখতে হবে কীভাবে দেশকে আবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা যায়, বলেন এক সরকারি আধিকারিক

লকডাউনের জেরে আর্থিক ক্ষতি সামলাতে আরও ত্রাণ বরাদ্দের বিবেচনা করছে কেন্দ্র

Lockdown: ২৫ মার্চ থেকেই দেশ জুড়ে ২১ দিনের টানা লকডাউন চলছে (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে, এটি চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত
  • টানা এতদিন গোটা দেশ লকডাউন থাকায় বিরাট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে
  • এই ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার ভাবনা সরকারের
নয়া দিল্লি:

লকডাউন (Lockdown) পরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। টানা ২১ দিনের এই লকডাউনের ফলে যে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে দেশ তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আরও একটি পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণার ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। তবে এবিষয়ে এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন উর্ধ্বতন সরকারি কর্তারা। আর যদি সত্যিই এমন কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়, তাহলে দেশে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মোদি সরকারের পক্ষ থেকে এটি তৃতীয় বড় উদ্যোগ হবে। ২৪ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা (COVID-19) সংক্রমণ রুখতে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন করদাতাদের এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্যে বেশ কয়েকটি ছাড় ও ত্রাণ ব্যবস্থার ঘোষণা করেছিলেন। তার ঠিক দু'দিন পরে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ফের একবার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোগী হন। করোনা মহামারীর জেরে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্যে ১.৭ লক্ষ-কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেন তিনি।

রবিবার, সরকারের উর্ধ্বতন কর্তারা জানিয়েছেন যে তাঁরা দেশের লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি অনুসারে কিছু কল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণার কথা বিবেচনা করছেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পকেও নতুন করে সাজানো হতে পারে যাতে তার থেকে লাভবান হন দেশের মানুষ। 

লকডাউন পর্ব মিটলে ফের বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা

এ ব্যাপারে তাঁরা বিভিন্ন বিকল্প নিয়েই বিবেচনা করছেন। মন্ত্রীদের দেওয়া বিভিন্ন রকমের বৃত্তি ও ফেলোশিপ, সরকারের তরফে চাষীদের থেকে রবি ফসল সংগ্রহ সহ নানা বিষয় নিয়েই সরকার ভাবনাচিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 

এদিকে COVID-19 এর কুপ্রভাব রুখতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সভাপতিত্বে ১০ জন সরকারি আমলাদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। ওই বিশেষ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁরা লকডাউনের পর দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করে দেখছে।

করোনাকে রুখতে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী মিলিতভাবে কাজ করার পরামর্শ রাজ্যপাল ধনকড়ের

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বেও কয়েকজন অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে আর একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার দিকগুলো খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।

.