This Article is From Apr 25, 2020

রাজ্যে করোনা চিকিৎসার হালচালে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় দল, মুখ্যসচিবকে দেওয়া হল চিঠি

West Bengal: পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বিভাগ কেন্দ্রীয় দলের দেওয়া চিঠির জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা

রাজ্যে করোনা চিকিৎসার হালচালে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় দল, মুখ্যসচিবকে দেওয়া হল চিঠি

Coronavirus: শুক্রবার হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যায় কেন্দ্রীয় দল

হাইলাইটস

  • হাওড়া ও কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল
  • করোনা মোকাবিলায় বাঙুর হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখে উদ্বেগ প্রকাশ
  • রাজ্য সরকারকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জবাব তলব
কলকাতা:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে যুঝতে কতটা সুনির্দিষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে রাজ্যের (West Bengal) হাসপাতালগুলোতে, কতটাই বা মেনে চলা হচ্ছে লকডাউনে (Coronavirus Lockdown) বিধিনিষেধ, এই সব খতিয়ে দেখতেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দিনভর কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ালেন ওই পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা। রাজ্যের করোনা (COVID- 19) হটস্পট জেলা বলে পরিচিত হাওড়ার হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখেন তাঁরা, যান কলকাতার বাঙুর হাসপাতালেও। পাশাপাশি রাজারহাটে থাকা কোয়ারান্টাইন সেন্টারটিও ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় দলটি। তবে জানা গেছে, এলাকাগুলোতে ঘুরে দেখে মোটেও সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় দল। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা অপূর্ব চন্দ্র রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে একটি দু'পৃষ্ঠার চিঠি ধরিয়েছেন। জানা গেছে, রাজারহাটের কোয়ারান্টাইন সেন্টার ও বাঙুর হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ওই দুই জায়গার পরিকাঠামো ও চিকিৎসা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলা হয়েছে রাজ্যে কেন করোনা পরীক্ষার ফল আসতে এত দেরি হচ্ছে তা নিয়েও।

করোনাকে জয় না করা পর্যন্ত আমাদের ঘরই হোক মন্দির-মসজিদ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রীয় দলটি কলকাতার বাঙুর হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের মনে হয়েছে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি প্রক্রিয়া যথেষ্ট বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। অন্যান্য হাসপাতাল থেকে যে সব করোনা রোগীদের বাঙুরে পাঠানো হচ্ছে তাঁদের জন্যে অ্যাম্বুলেন্সের অভাব রয়েছে।বাঙুরে কেবলমাত্র ১২ টি ভেন্টিলেটর যুক্ত বিছানা থাকায় তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। ওই হাসপাতালে ৩৫৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় দল খতিয়ে দেখেছে যে ওই হাসপাতালের সামগ্রিক কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে হচ্ছে। এমনকী কোনও মৃতদেহের শংসাপত্রের জন্যে গড়ে কমপক্ষে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে।

লকডাউন না মানায় রাজ্যে গ্রেফতার প্রায় ৩৪,০০০, জানালেন মুখ্যসচিব

পাশাপাশি রাজ্যে আরও দ্রুত গতিতে করোনা টেস্ট কেন করা হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি। 8 মার্চের আগে যারা বিদেশ থেকে কলকাতায় এসেছেন কেন তাঁদের সবার করোনা টেস্ট এতদিনেও হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। কীভাবে ঠিক কী গতিতে রাজ্যে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে তার বিস্তারিত বিবরণ জানতে চান তাঁরা।

এছাড়াও রাজ্য সরকারকে আরেকটি চিঠিও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র । তাতে তিনি COVID 19 ডেথ অডিট কমিটির বৈধতা ও তার করোনায় মৃত ঘোষণার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সঙ্গে ওই কমিটির কাছে জমা পড়া যাবতীয় নথি তলব করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বিভাগ কেন্দ্রীয় দলের দেওয়া চিঠির জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার একটি "খোলা বই" এর মতো এবং করোনা নিয়ে রাজ্যের মানুষ ছাড়া অন্য কারও পরীক্ষায় পাস করার দরকার নেই।

.