हिंदी में पढ़ें
This Article is From Apr 18, 2020

চিনে করোনায় মৃতদের নতুন পরিসংখ্যান, বাড়ছে হাহাকার, অন্যান্য দেশেও বাড়বে সংখ্যা, বলল 'হু'

Coronavirus: চিনের নয়া পরিসংখ্যানে উহানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে, গত ডিসেম্বরে এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে করোনা সংক্রমণ

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

China: নতুন তথ্যে দেখা গেছে, উহানে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ২৯০ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে

Highlights

  • করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করল চিন
  • ওই পরিসংখ্য়ানে সেদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই ৫০% বেড়ে গেছে
  • ইচ্ছাকৃতভাবেই আসল তথ্য গোপন করেছিল চিন, বলছে বহু দেশ
নয়া দিল্লি:

রীতিমতো রাতারাতি নিজেদের দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যানে বিরাট বদল আনলো চিন। নয়া ওই পরিসংখ্যানে উহানে করোনা (COVID- 19) আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত ডিসেম্বর মাসে এখান (China) থেকেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনা সংক্রমণ। এই সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে চিনের সাফাই, এর আগে তারা মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান ঠিকভাবে দিতে পারেনি। তবে এই ঘটনার পরেই, গোটা বিশ্ব আবারও চিনকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছে। ঠিক কী উদ্দেশে নিজেদের দেশের আসল করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য অংশের কাছে গোপন করেছিল তারা তাই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রেও কিন্তু একরকম চিনের পাশেই দাঁড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা হু। ওই সংস্থা (WHO) জানিয়েছে যে, গোটা বিশ্বকেও চিনের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এখন যে পরিসংখ্যান বিভিন্ন দেশ থেকে মিলছে, করোনার প্রকোপ কমলে দেখা যাবে আসলে ওই পরিসংখ্যান খাতায় কলমে আরও বেশি।

দেশে এখন করোনা আক্রান্ত ১৪,৩৭৮, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৩, মোট ৪৮০ জনের প্রাণহানি

তবে এটা কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না যে শুরুতে এই করোনা ভাইরাসের মতো মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিস্তারকে আড়াল করার জন্যে সমস্ত রকম প্রচেষ্টা করেছিল চিন। এমনকী যে চিকিৎসকরা এই মারণ রোগের বিপদ সম্পর্কে আগেভাগে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন তাঁদেরও শাস্তি দেওয়া হয়েছে ওই দেশে। এর পাশাপাশি, যখন এই রোগটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়, তখনও চিনের সরকার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তা নিয়েও বারেবারে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক দেশই বলেছে, চিন নিজেদের দেশে করোনা সংক্রমণের যে হিসাব তুলে ধরছে তা প্রকৃত চিত্র নয়।

Advertisement

একই সঙ্গে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বলছে যে এই রোগটি যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন সেই সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের কাজ কারণ সমস্ত ক্ষেত্রে এই রোগ প্রথম থেকে শনাক্ত করাও কঠিন। করোনার বিষয়ে তদারক করা হু-য়ের একটি শাখার চেয়ারপার্সন মারিয়া বেন বলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে অনেক দেশকেই চিনের মতো নিজেদের করোনা সংক্রান্ত রেকর্ডে পরিবর্তন করতে হবে। কেননা এত তাড়াতাড়ি সব করোনা সংক্রমিতদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করল কেন্দ্র

Advertisement

চিনের দেওয়া নতুন তথ্যে দেখা গেছে, উহানে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ২৯০ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৩,৮৬৯ জন। আর গোটা চিনে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫০,৩৩৩ জন।

মারিয়া বেন বলেছেন যে চিনে করোনা সংক্রমণ যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল তখন উহানের স্বাস্থ্য বিভাগ রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। বহু রোগী বাড়িতেই মারা গিয়েছিলেন এবং সেই সময় সেই পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব ছিল না। কারণ তখন সকলেই ব্যস্ত ছিলেন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার দিকে। এই পরিস্থিতি বিশ্বের করোনা আক্রান্ত সব দেশের সামনেই আসবে বলেও সতর্কবাণী শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।

Advertisement


 

Advertisement