পাঞ্জাবের জন্য বাস ধরতে যাওয়ার পথে আটকে পড়েন তাঁরা।
নয়া দিল্লি: আন্তঃরাজ্য বাস ধরতে গিয়ে দিল্লির মঞ্জু কা টিলায় আটকে পড়েন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। শিখ ধর্মালম্বী সেই নাগরিকরা আশ্রয় নিয়েছিলেন স্থানীয় (Delhi's Gurudwara) এক গুরুদ্বারে। তাঁদেরকে উদ্ধার করে নেহেরু বিহারের এক সরকারি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন, গুরদ্বার প্রবন্ধ কমিটির প্রধান মনজিন্দর সিং শীর্ষা। বাধ্যতামুলক ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে তাঁদের।গুরুদ্বার প্রবন্ধ কমিটির তরফে এমনটা জানা গিয়েছে। এদিকে, এভাবে লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নামা নাগরিকদের প্রতি কড়া হতে নির্দেশ দিলেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজাল। তিনি বলেছেন, রাস্তায় এমন মানুষ চোখে পড়লেই, তাঁদের উদ্ধার করে সরকারি আশ্রয় শিবিরে পাঠান হবে। রাখা হবে বিশেষ পর্যবেক্ষণে।
"মুসলিমদের দোষারোপের অজুহাত মাত্র", দিল্লির মসজিদ থেকে করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে বললেন ওমর আবদুল্লা
এদিকে, দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনার প্রাদুর্ভাব। এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৩৭-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তবে ভাল খবর হল, ১৩৩ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। বুধবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। দেশের অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। ফলে বাংলায় করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬। করোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে লকডাউন।
রাজ্যে করোনার বলি আরও ১, মৃত বেড়ে ৪
পাশাপাশি, দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ সংলগ্ন প্রায় পুরো এলাকাটাই করোনা সংক্রমিত, কেননা ওই মসজিদের সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে কমপক্ষে ১২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরেই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই অঞ্চলের কাছে থাকা একটি বহুতল থেকে প্রায় ২,১০০ জন মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আয়োজিত ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগদান করার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারই মার্কাজ নিজামুদ্দিন সিল করে দেওয়া হয়, এবং সেখানে থাকা অসংখ্য মানুষকে বের করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪০, মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ৩৮-এ
যে সমস্ত রাজ্যের মানুষ ওই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত যাঁদের সন্ধান মিলেছে তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত ১২৮ জন। এদিকে এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের "মার্কাজ" কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২২ মার্চ "জনতা কারফিউ" ঘোষণা করার পরে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়।