This Article is From Jul 22, 2020

কোভিড-১৯ এর টিকা তৈরির জন্যে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঝুঁকি!

Coronavirus Vaccine: বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সিরাম ইনস্টিটিউট বলেছে যে ভারতে সব মানুষকে এই টিকা দিতে বছর দুয়েকেরও বেশি সময় লাগবে

Oxford vaccine: করোনাকে রুখতে সারা বিশ্বে ১০০ টিরও বেশি টিকা তৈরির গবেষণা চলছে

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসকে রুখতে অক্সফোর্ডের গবেষকরা তৈরি করেছেন টিকা
  • সেই টিকার পরীক্ষামূলক ব্যবহার চলছে, নভেম্বরের মধ্যেই ভারতে আসবে এই টিকা
  • একটি ভারতীয় সংস্থাও এই টিকা তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে আছে
নয়া দিল্লি:

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বরের মধ্যে ভারতে চলে আসবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা (Coronavirus) টিকা। সোমবার পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গেছে তাতে জানা যাচ্ছে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে ওই করোনা টিকার (Coronavirus Vaccine) পরীক্ষামূলক ব্যবহার এখনও পর্যন্ত সদর্থক ফলই দিয়েছে, তাই এই টিকার (Corona Vaccine) আরও বেশি করে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই গবেষণার (Oxford Vaccine) সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সংস্থার প্রধান আদর পুনাওয়ালা NDTV-কে বলেছেন যে এই টিকা তৈরির পিছনে তাঁরা ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন, এবং এই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা মাত্র ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করেছেন। তিনি একথাও বলেন যে, একটি অপরীক্ষিত টিকার ক্ষেত্রে এত পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হয়তো ব্যবসায়িক দিক থেকে একটি বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তবু বর্তমান সঙ্কটের সময় এর আশু প্রয়োজনীয়তার কথা চিন্তা করেই ওই অর্থ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অক্সফোর্ডে তৈরি করোনা টিকার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে ভারতেও

পাশাপাশি সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রধান একথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে,  যদি এই টিকাটি পরবর্তী পর্যায়ে সফল না হয়, তাহলে তাঁদের এই বিপুল ক্ষতির ভার বহন করতে হবে। তবে যদি ঠিকভাবে কাজ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি এই করোনা টিকা, তবে আগামী নভেম্বরের মধ্যে তা ভারতে পৌঁছে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। উন্নত করোনভাইরাস ভ্যাকসিন নভেম্বরের মধ্যে ভারতে পৌঁছে যাবে। ভারতীয় মুদ্রায় এর দাম হবে ১.০০০ টাকা।

ভালভযুক্ত N-95 মাস্ক আদৌ কি নিরাপদ? বিশেষ মাস্ক পরা নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কতা জারি!

ল্যানসেট মেডিকেল জেনারেল-এ প্রকাশিত এই টিকার পরীক্ষামূলক ব্য়বহার সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, আপাতত প্রাথমিকভাবে AZD1222 করোনা টিকার ফলাফল ইতিবাচকই এসেছে। সবচেয়ে বড় কথা, গবেষকরা দাবি করেছেন যে, এই টিকাটির কোনও বড় ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, বরং এটি শরীরে গিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। তবে এর কিছু ছোটোখাটো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে যেগুলো প্যারাসিটামল ওষুধ খেলেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ফলে ভারতেও জাগছে আশা। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সিরাম ইনস্টিটিউট বলেছে যে ভারতে সব মানুষকে এই টিকা দিতে বছর দুয়েকেরও বেশি সময় লাগবে।

তিনি একথাও বলেন, "আমরা অগাস্টেই ভারতে এই টিকার পরীক্ষামূলক ব্য়বহার শুরু করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং আমরা আশা করছি যে এই পরীক্ষা শেষ হতে দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে… তবে নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। ভারতের মানুষের জন্যে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডের অর্ধেক পরিমাণ টিকা আনা হবে। যার মানে প্রতি মাসে যদি প্রায় ৬০ মিলিয়ন টিকা তৈরি হয় তার মধ্যে, ভারত ৩০ মিলিয়ন পাবে।"
 

.