This Article is From May 01, 2020

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার পেরলো, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত

Coronavirus Cases in India: গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭৩ জনের, সব মিলিয়ে দেশে করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে মোট ১,১৪৭ জনের

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার পেরলো, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত

COVID-19: হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে

হাইলাইটস

  • দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত মোট ১,৯৯৩ জন
  • সারা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫,০৪৩ জনে
  • এখনও পর্যন্ত এদেশে করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে মোট ১,১৪৭ জনের
নয়া দিল্লি: যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ওই মারণ ভাইরাসের (Coronavirus Cases in India) কবলে পড়েছেন ১,৯৯৩ জন মানুষ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও, গত একদিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭৩ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসে (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৫,০৪৩ জন এবং মারা গেছেন মোট ১,১৪৭ জন। যদিও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। সরকারি হিসাব বলছে, শুক্রবার সকালে দেশে করোনা পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে ২৫.৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৮,৮৮৯ জন। বৃহস্পতিবারই, সরকার জানিয়েছে যে গত দু'সপ্তাহের তুলনায় এই সুস্থ হওয়ার পরিমাণ বেড়ে ১৩ শতাংশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আগে যে হারে দ্বিগুণ হচ্ছিল তাও এখন অনেক কমেছে। বর্তমানে ১১ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, আগে যেখানে ৩.৪ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছিল।

এই সংক্রান্ত ১০ টি তথ্য দেখে নিন এবার:

  1. সরকারি তথ্য অনুসারে, দেশ জুড়ে মোট ১৩০ টি জেলা হটস্পট বা রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, এই সব এলাকায় COVID-19 এর বিস্তার ঠেকাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। ৩১০ টি জেলা গ্রিন জোন, অর্থাৎ ওই এলাকাগুলোতে করোনা আক্রান্ত প্রায় নেই বললেই চলে। ওদিকে মোট ২৮৪ টি জেলাকে অরেঞ্জ জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

  2. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার COVID-19 মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে কীভাবে আরও বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায় এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করা যায় সেই সব উপায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। "খুবই দ্রুত যাতে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো যায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রগুলিকে চাঙা করা যায় সেই সম্পর্কে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে পরিকল্পনা মাফিক দেশীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এবং আরও বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে তার জন্যে একটি নির্দেশিকা তৈরি নিয়েও আলোচনা হয়েছে", এক বিবৃতিতে জানায় সরকার।

  3. দেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত যে রাজ্যটি করোনার জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তা হল মহারাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের অবস্থা শোচনীয়, সেখানে এখনও পর্যন্ত ৭,০০০ এরও বেশি মানুষ COVID- 19 এ ভুগছেন। মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষজন।

  4. এদিকে বৃহস্পতিবার পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র, দেশের এই দুই রাজ্যের মানুষই সবচেয়ে বেশি করোনার কবলে পড়েছেন। ওদিকে বৃহস্পতিবার একদিনের মধ্যেই তামিলনাড়ুতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৬১ জন। ফলে ওই রাজ্যে করোনা রোগীর মোট সংখ্যা ২,৩২৩ এ পৌঁছেছে। দক্ষিণের ওই রাজ্যে কমপক্ষে ২৭ জন মারা গেছেন এবং ১,২৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

  5. বৃহস্পতিবার পঞ্জাবে নতুন করে ১০৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং সিধু অবশ্য এর জন্যে মহারাষ্ট্র সরকারকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই রাজ্যের নান্দেদ শহরে আটকে থাকা তীর্থযাত্রীদের পরীক্ষা না করেই তাঁদের রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে দেখা গেছে ওই তীর্থযাত্রীদের মধ্যে বহু মানুষই করোনা পজিটিভ হয়েছেন। "মহারাষ্ট্র সরকার তীর্থযাত্রীদের কোনও রকম সহায়তা করেনি", এই অভিযোগও করেন তিনি।

  6. দিল্লিতে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার কন্টেইমেন্ট জোনগুলিতে নজরদারি আরও জোরদার করে তুলেছে এবং ঘোষণা করেছে যে এখন থেকে এইসব এলাকার মানুষদের ১৪ দিনের মধ্যে একবারের পরিবর্তে তিনবার স্ক্রিনিং করা হবে। দেশের রাজধানীতে বর্তমানে ৯৮ টি কনটেন্ট জোন রয়েছে, এর মধ্যে ১১ টির জনসংখ্যা ১ লক্ষেরও বেশি।

  7. উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি রাজ্যে COVID-19 ভাইরাসকে রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ ভালই সাফল্য মিলছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কেরল এবং হরিয়ানায় প্রতিদিন তিন শতাংশেরও কম মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ওই মারণ রোগে।  ২০ দিনেরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, দশ দিন আগেও যেখানে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ৮ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল এখন তা কমে ১৪ দিনে দাঁড়িয়েছে। 

  8. এদিকে মুম্বইয়ের পরে উত্তরাখণ্ড সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, করোনা পরিস্থিতিতে অতি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন না করার। মঙ্গলবার, মুম্বইয়ে ৩ জন পঞ্চাশোর্ধ পুলিশ কর্মী মারা যাওয়ায়, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুলিশের করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকতেই নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। এদিকে দিল্লিতে শুধুমাত্র পুলিশ কর্মীদের জন্যেই একটি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

  9. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বুধবার জানায় যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন নির্দেশিকা জারি করা হবে আগামী ৩ মে সর্বস্তরে লকডাউন ওঠার পর। ৪ মে থেকে দেশের বহু রাজ্যে এই কড়া বিধিনিষেধ খানিকটা হলেও শিথিল করা হবে। তবে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারগুলো সম্পর্কে  টুইটারে জানানো হবে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র।

  10. গত বছরের ডিসেম্বরে চিন থেকেই এই মারণ ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এখন দুনিয়া জুড়ে প্রায় ৩৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত; এর মধ্যে ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সেদেশে সংক্রমণের সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি হয়ে গেছে; ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে মারা গেছেন ৬২,০০০ এরও বেশি মানুষজন।



Post a comment
.