Coronavirus in India: পবিত্র রমজান মাস সম্পর্কে একটি টুইট করেছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকার পরামর্শ দিলেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি
- রমজান মাসের নমাজ ঘরে বসেই পড়ার কথা বললেন তিনি
- দেশে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখা হয়েছে, এই সময় নিষিদ্ধ ধর্মীয় জমায়েতও
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস মহামারীর (Coronavirus Pandemic) বিরুদ্ধে যুঝতে সমগ্র দেশ লকডাউনের পথে হেঁটেছে। এই সময় যে কোনও ধরণের বড় জমায়েত নিষিদ্ধ, সে আনন্দ অনুষ্ঠানই হোক বা ধর্মীয় সভা কিংবা প্রার্থনা সভা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নমাজ পড়ার জন্যে সমবেত হচ্ছেন মুসলিমরা। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান তথা সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)। সামনেই রমজান, তাই এই সময় যাতে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন লকডাউনের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য না করেন তার জন্যে বার্তা দিলেন তিনি। রমজান (Ramzan/Ramadan) উপলক্ষে মুসলিমরা ঘরে বসেই নমাজ পডুন, এই বার্তাই দেন তিনি।
সামাজিক দূরত্ব বজায়ের বিধিকে লবডঙ্কা দেখিয়ে বিয়ে সারলেন দেবেগৌড়ার নাতি
লকডাউন মেনে চলার বিষয়ে তাঁর টুইটবার্তা, "জামিয়া নিজামিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হায়দরাবাদের মুফতি ও উলেমারা যেন আসন্ন রমজান মাসে রোজ ঘরে বসেই নমাজ পড়েন। অবশ্যই, এই নির্দেশিকাগুলো কেবলমাত্র তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, গোটা ভারত জুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে কঠোরভাবে এই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে"।
প্রতিদিনই দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৩,৩৮৭ জন। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টাতেই আক্রান্ত হিসাবে ধরা পড়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। ওই রোগ দেশে মোট ৪৩৭ জনের প্রাণ কেড়েছে। তবে একটি অভ্যন্তরীণ সরকারি মূল্যায়ন থেকে জানা গেছে যে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশে করোনা সংক্রমিতের (Coronavirus in India) সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি হবে। তবে তারপরেই ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ কমবে বলেও আশা রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।
লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিলের পর আরও কোন কোন বিষয়ে মিলবে ছাড় জেনে নিন
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের আরও ৬২ টি ঘটনা ঘটেছে এবং এ নিয়ে দেশের রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬৪০-এ পৌঁছেছে। দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ৬জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।