हिंदी में पढ़ें
This Article is From Apr 22, 2020

১৫০ কিমি দূর থেকে ওষুধ এনে হেপাটাইটিস বি রোগীর বাড়িতে পৌঁছে দিলেন যুবক

Coronavirus Lockdown: লকডাউনের কারণে ওষুধ অমিল, সমস্যায় পড়েন পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি গ্রামের হেপাটাইটিস-বি রোগে আক্রান্ত রোগী

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

West Bengal: লকডাউনের মধ্যে কিছু লোক অন্যকে সাহায্য করে নয়া উদাহরণ তৈরি করছেন

Highlights

  • সোনারপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় ওষুধ পৌঁছে দিলেন এক যুবক
  • এক হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত মহিলাকে সাহায্য় করেন তিনি
  • এলাকার মধ্যে ওষুধ না মেলায় ১৫০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে ওষুধ এনে দেন যুবকটি
কলকাতা:

Covid-19 মহামারী রুখতে দেশে আগামী ৩ মে পর্যন্ত জারি রয়েছে লকডাউন (Coronavirus Lockdown)। বন্ধ রয়েছে কলকারখানা, দোকানপাট, বন্ধ গণপরিবহণও। ফলে পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) বহু জিনিস অমিল। এই যেমন লকডাউনের কারণে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি গ্রামে ধারেকাছের কোনও ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায়নি হেপাটাইটিস-বি (Hepatitis-B) রোগের প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ, ফলে সাংঘাতিক সমস্যায় পড়েন ওই রোগে আক্রান্ত এক রোগী। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও তিনি পাশে পেলেন কিছু পরোপকারী মানুষকে। কয়েকজন যুবক ওই রোগীর সমস্যার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পেরিয়ে এসে ওই হেপাটাইটিস রোগীর কাছে ওষুধ পৌঁছে দিয়ে গেলেন তাঁঁরা।

অমিত শাহের থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ প্রত্যাহার করলেন চিকিৎসকরা

রোগী পূর্ণিমা মৌরের পাশেই থাকা তাঁর এক আত্মীয় সৌমিত্র মৌর বলেন যে তাঁদের এলাকায় কোথাও কোনও হেপাটাইটিস বি-এর ওষুধ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন তাঁরা। পরে তিনি একটি আঞ্চলিক রেডিও ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার মঙ্গরুল গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা এবং তাঁর পরিবার কীভাবে ওই ওষুধটি পাবে তা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন সৌমিত্র। তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, "আমি আগে একবার আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। কোথাও ওষুধ না পেয়ে তাই আমি বাধ্য হয়েই তাঁদের সাহায্যপ্রার্থী হই"। আর তারপরেই যেন ম্যাজিক ঘটে। 

Advertisement

কীভাবে ওই সংগঠনের মানুষজন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা বলতে গিয়ে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েন সৌমিত্র। তিনি জানান যে ওষুধের জরুরি প্রয়োজনের কথা তাঁদের জানাতেই ওই ক্লাবের সচিব অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস তাঁকে সাহায্য় করার আশ্বাস দেন।

কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে উত্তপ্ত চিঠি বিনিময়, নিয়ম মানার আশ্বাস দিল রাজ্য

Advertisement

এই ঘটনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জানান, "হেপাটাইটিস-বি-তে আক্রান্ত ওই রোগীর জন্যে বিশেষ ওষুধ প্রয়োজন সেকথা জানার পরেই আমরা সক্রিয় হই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সোনারপুর লিভার ফাউন্ডেশনের কাছে ওই রোগের ওষুধ আছে। আমরা তখন সেখানে গিয়ে সেই ওষুধ সংগ্রহ করি এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওষুধটি রোগীর বাড়িতে পৌঁছে দিই"। তিনি বলেন, "আমাদের সদস্য সৌপর্ণ সেন মঙ্গলবার সকালে লিভার ফাউন্ডেশন থেকে ওষুধগুলো কেনেন এবং চন্দ্রকোণার বাড়িতে থাকা রোগী পূর্ণিমা মৌরের বাড়িতে তা পৌঁছানোর জন্যে দেড়শো কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দেন"। জানা গেছে, ওই হেপাটাইসিস বি আক্রান্ত রোগীকে মাসখানেকেরও বেশি সময় পর্যন্ত যাতে নতুন করে আর ওষুধ কিনতে না হয় তার ব্যবস্থাই করে দেন তাঁরা।

Advertisement