This Article is From Apr 17, 2020

ক্লোরোক্যুইন ড্রাগ ব্যবহারের জন্যে ওষুধের মানদণ্ডের সঙ্গে সমঝোতা আমেরিকার

রিসোচিন হ'ল ক্লোরোক্যুইন বা হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন এই ২ সক্রিয় উপাদানের মধ্যে একটি ওষুধের অংশ যা আমেরিকা করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে কাজে লাগাচ্ছে

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

Coronavirus: কিছু ক্লোরোক্যুইন ড্রাগকে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে দেখা দেওয়ার আগেই এফডিএ অনুমোদন করেছিল (ফাইল চিত্র)

Highlights

  • ভারত থেকে প্রচুর হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন ড্রাগ আমদানি করেছে আমেরিকা
  • তবে করোনার মোকাবিলায় কতটা কার্যকরী ওই ওষুধ তার পুরোপুরি প্রমাণ মেলেনি
  • করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে তাই এখন ওষুধের মানের ক্ষেত্রেও সমঝোতা করছে তারা

২১ মার্চ, COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম যখন ক্লোরোক্যুইন (Hydroxychloroquine) ড্রাগকে "গেমচেঞ্জার" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তারপর থেকেই এই অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ড্রাগটিকে নিজেদের দেশে মজুত করার জন্যে উঠে পড়ে লাগে আমেরিকা। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও আমদানি করা ওষুধ ব্যবহারের আগে তারা সামগ্রিকভাবে ওই ওষুধের মান খতিয়ে দেখে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) আক্রমণের কারণে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে তাতে ওষুধের মান খতিয়ে দেখার মতো যথেষ্ট সময় নেই ওই দেশের হাতে। নিউজফিডের খবর অনুসারে, তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই করোনার (COVID-19) সঙ্গে লড়তে ক্লোরোক্যুইন ড্রাগ ব্যবহারের জন্যে ওষুধের মানদণ্ডের সঙ্গে সমঝোতা করেছে আমেরিকা। এমনিতে যে কোনও একটি ওষুধের নির্দিষ্ট মান ও তার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে ৩-৪ দিন সময়ের দরকার হয়। 

"ওষুধের মতো আমদানিকৃত পণ্যের সঙ্গে সমঝোতা করার ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই আমরা যেকোনও ওষুধ ব্যবহারের আগে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করি", বলেন মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এর প্রধান কর্মী কেগান লেনিহান। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেভাবে পরীক্ষা না করেই রিসোচিন নামক একটি ওষুধ ব্যবহার করা শুরু হয়েছে আমেরিকায়। 

করোনাকে কাবু করতে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন তৈরির লাইসেন্স পেল বেঙ্গল কেমিক্যালস

Advertisement

খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে সামান্য কিছু পরীক্ষার পরে, জরুরি অবস্থার কথা বিবেচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধের ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এটাও ঠিক যে, মার্কিন প্রশাসন মনে করছে ভারত এবং পাকিস্তানে তৈরি এই রিসোচিন এবং এর নির্মাতাদের গুণমান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তানে যেভাবে এই রিসোচিন তৈরির উপাদান উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করা হয় তা কতটা যথাযথ এখনও খতিয়ে দেখার সুযোগ পায়নি আমেরিকা। কিন্তু এই ধরণের কিছু ক্লোরোক্যুইন ড্রাগকে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে দেখা দেওয়ার সময়েই এফডিএ অনুমোদন করেছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু দেশে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন রফতানি করার সিদ্ধান্ত ভারতের

"রিসোচিন হ'ল ক্লোরোক্যুইন বা হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন এই দুটি সক্রিয় উপাদানের মধ্যে একটির ওষুধের অংশ যা ট্রাম্প প্রশাসন করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্যে চিকিৎসার কাজে লাগাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ক্লোরোক্যুইন ড্রাগের কার্যকারিতা কিন্তু সেভাবে প্রমাণিত হয়নি। যদিও বছরের পর বছর ধরে এই ওষুধটি ম্যালেরিয়া এবং লুপাসের মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এই ওষুধের গ্রহণে হৃদযন্ত্র আক্রান্ত হওয়া সহ গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে", বলছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement