নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যাবশকীয় পণ্য পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন (curfew-like lockdown) ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), তাঁর এই ঘোষণার পরেই মুদির দোকান ও ওষুধের দোকানে উদ্বেগের ছাপ, সেখানে কেনাকাটিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জরুরি সামগ্রি পাওয়া যাবে বলে সরকারের আশ্বাস নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই, বিশেষ করে যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন এটা খানিকটা “এটা খানিকটা কার্ফুর মতো” পরিস্থিতি। এদিন সন্ধ্যায়, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান, দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ২১ দিনের লকডাউন দেশজুড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা কার্ফুর মতো, জনতা কার্ফুর থেকে কঠিন”, রবিবার জারি করা ১৪ ঘন্টার লকডাউনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এমনটাই জানান তিনি। জাতির উদ্দেশে তাঁর দ্বিতীয় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি আপনি লক্ষণরেখা পার করেন, তাহলে ভাইরাস নিজের বাড়িতে ডেকে আনবেন”।
প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, “করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র...নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির সরবরাহ জারি রাখতে আমরা সবরকম পদক্ষেপ করেছি”।
তবে প্রতিবেশি বা পাড়ার মুদির দোকান, ডিমের ট্রে এবং ডালের প্যাকেটের মতো সামগ্রি নিয়ে বচসা লেগে যায়। ময়দা, চাল মেলেনি অনেক দোকানেই, অন্যদিকে, রাজ্য কড়াকড়ি করে দেওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় মজুত কর রাখার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওষুধের দোকানে দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন।
কিছুক্ষণ পরেই একাধিক ট্যুইট করে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
তবে সরকার তার প্রতিশ্রুতি কীভাবে পালন করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। গত চারদিন ধরে, দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণার পরেই, বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি দোকানও বন্ধ দেখা গিয়েছে। কিছু জায়গায় লোকজনকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করে পুলিশ।
গতকাল পর্যন্ত, লকডাউন অমান্য করায় ১০০টি অভিযোগ দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।