রাজ্যের তরফে বেসরকারি হোটেলগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে কয়েকটা ঘরকে কোয়ারান্টাইন পরিষেবা হিসেবে তুলে ধরতে। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- তৈরি পে এবং ইউজ আইসোলেশন কেন্দ্র
- সরকারি অনুরোধ মেনে ঘর খুলছে রাজ্যের ৩১টি হোটেল
- গাইডলাইন মেনেই তৈরি হবে কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র
কলকাতা: এবার আইসোলেশন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে শহরের অভিজাত হোটেলগুলোকে (Pay and Use Hotel Room for Isolation)। টাকা দিন-ব্যবহার করুন অর্থাৎ পে এবং ইউজ পদ্ধতিতে অতিথিদের ১৪ দিনের জন্য ঘর খুলে দিতে আগ্রহ দেখাল হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের (Bengal Government) অনুরোধ মেনে এই উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব ভারতের হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট সংগঠন। সংগঠন সূত্রে খবর, কলকাতা, রাজারহাট ও নিউ টাউন মিলিয়ে ২ স্টার-৪ স্টার ৩১টি হোটেলের ৬৪০টি ঘর আইসোলেশন কেন্দ্র (Isolation Centres in Luxurious Hotel) হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। আইসোলেশনে থাকাকালীন, সস্তায় ঘর ব্যবহারের সঙ্গে প্রাতঃরাশ থেকে নৈশভোজের সুবিধাও মিলবে। পূর্ব ভারতের হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট সংগঠনের সচিব সুদেশ পোদ্দার বলেছেন, আমাদের সংগঠনের কাছে রাখা আবেদন পর্যালোচনা করে সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসোলেশনের জন্য হোটেল রুম খুলে দেওয়া হবে। এই মর্মে তালিকাভুক্ত হোটেলের একটা তালিকা নবান্ন পাঠানো হয়েছে। তবে সেই তালিকায় কোন কোন হোটেল আছে তা পিটিআইয়ের কাছে প্রকাশ করতে চাননি সুদেশ পোদ্দার।
লকডাউনে সবজির গাড়ি উল্টে দিল পুলিশ! ভিডিও ভাইরাল হতেই বরখাস্ত
জানা গিয়েছে, হু ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রুমগুলিকে তৈরি করতে হবে। হোটেল চত্বরে রাখতে হবে পর্যাপ্ত আয়োজনও। ঠিক যেমনটা গাইডলাইনে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকায় বলা, "ঘরগুলোতেই থাকতে হবে শৌচাগার। সকালে ঘরের জানলা খুলে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে। আর মেঝে ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আইসোলেশনে থাকা ব্যাক্তির সঙ্গে যাতে অন্যদের তোয়ালে, তোষক, থালা-বাটি, কাপ-ডিশ মিশে না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সেই ব্যাক্তির ব্যবহার করা সব জিনিস সাবান জল কিংবা গরম জলে ধুয়ে রোদে শুকোতে দিতে হবে। প্রতিদিন শৌচাগারের বেসিন আর কমোড পরিষ্কার করতে হবে।"
পঞ্জাবে করোনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত ২৩, ১৫টি গ্রামে আতঙ্ক
নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, আইসোলেশনে থাকা ব্যাক্তির ঘরে আসা-যাওয়া করা হাউজকিপিং আর রুম সার্ভিস কর্মীদের মাস্ক আর গ্লাভস পরিধান বাধ্যতামূলক। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা এবং সরকার চিহ্নিত আধিকারিক ছাড়া আর কাউকে সেই ঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। ১৪ দিন পর একমাত্র স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র পেলেই সেই রুম থেকে চেকআউট করতে পারবেন সেই ব্যাক্তি। স্পষ্ট উল্লেখ সেই সরকারি নির্দেশিকায়।.এদিকে, আইসলেশনে থাকাকালীন কোনও অতিথি জ্বর, কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত অস্বস্তি অনুভব করলে কী করণীয় সেই প্রশ্নেরও জবাব দেওয়া আছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, "আইসোলেশনে থাকাকালীন কারও শরীরে কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা গেলে অবিলম্বে স্থানীয় নোডাল আধিকারিককে খবর দিতে হবে। তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।"
এই পরিকাঠামো গড়তে একজন মেডিক্যাল আধিকারিক নিয়োগ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তিনি হোটেলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবেন বলে খবর। "প্রাথমিক ভাবে ৬৪০টি রুমকে কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরছি আমরা। পরে প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে ঘর-সংখ্যা।" জানিয়েছেন সুদেশ পোদ্দার।
নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্যে আরও দুটি আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ছে সরকার। একটা কলকাতায় আর অন্যটি রাজারহাটে।