This Article is From Apr 15, 2020

লকডাউন প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন প্রধানমন্ত্রী, জানাল সরকারি সূত্র

আলোচনার ব্যাপারটি শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রথমবার লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই। বহু আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।

লকডাউন প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন প্রধানমন্ত্রী, জানাল সরকারি সূত্র

Coronavirus: ২৫ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন চলছে।

নয়াদিল্লি:

মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়ে দেন দেশব্যাপী লকডাউন (Lockdown) যা ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা, তার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ মে করা হচ্ছে। সমাজের নানা ক্ষেত্রের মতামত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরাকির সূত্র NDTV-কে একথা জানিয়েছে। মঙ্গলবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলার আগে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাণ ও অর্থনীতি দু'টিই সুরক্ষিত করতে হবে।

সূত্রানুসারে, আলোচনার ব্যাপারটি শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রথমবার লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই। এগারোটি ক্ষমতাবান গ্রপ তৈরি করা হয়। তাতে শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি কৃষিজীবী সম্প্রদায়ও ছিল। 
বুধবার যে গাইডলাইন ঘোষিত হয়েছে তা তৈরি করতে ওই সব আলোচনা সাহায্য করেছে। গাইডলাইনে কৃষিকার্য, নির্মাণ, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহণের মতো বিষয়গুলিকে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রত্যেক রাজ্যকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে ওই গাইডলাইনে আরও বিষয় সংযুক্ত করার। কিন্তু মূল গাইডলাইনে বর্ণিত কোনও বিষয়কে বাদ দেওয়া যাবে ‌না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে সব ধরনের ছাড়ের ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় বিষয়টিকে কোনও ভাবে অগ্রাহ্য করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী সাত দিন সমস্ত জেলার দিকে কড়া নজর রাখা হবে। সমস্ত বিধিনিষেধ সর্বত্র মেনে চলা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখা হবে সেদিকে।

বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারি গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে অর্থনীতিতে। অধিকাংশ দেশই লকডাউনে রয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বর্তমান অর্থবর্ষে ১.৫-২.৮ শতাংশ বৃদ্ধির হার থাকবে। আশা করা হয়েছিল ৪.৮-৫.০ শতাংশে বছর শেষ হবে। গত সপ্তাহে এই নতুন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

শিল্পক্ষেত্রকে সহায়তা করার জন্য সরকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে। এর আগে বারবার সরকারি অর্থসাহায্যের বিষয়টি তুলে ধরেছে কংগ্রেস। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি মাপের শিল্পক্ষেত্রগুলি সরকারের ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

.