সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নয়াদিল্লি:
করোনা ভাইরাসে বেশি সংক্রমিত বা লাল এলাকাগুলিতে ৩ মে এর পরেও লকডাউন চলবে বলে সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে, করোনা সংক্রমিত জেলাগুলিকে যেভাবে লাল, কমলা, সবুজ রং ভাগ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী, রাজ্যগুলিকে লকডাউন তোলার ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কিছু জেলায় কাজকর্ম শুরু করা হবে এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা হবে বলেও এদিনের বৈঠকে জানিয়েছেন তিনি। লকডাউন দীর্ঘমেয়াদি হলে তার বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে বলে জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল”।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
খবর পাওয়া গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, গত দেড়মাসে লকডাউনে হাজারখানেক মানুষের প্রাণরক্ষা করা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীদের, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিকেও গুরুত্ব দিতে হবে”।
কমলা এবং সবুজ এলাকাগুলিতে কাজ চালু হতে চলেছে, এই সমস্ত সংক্রমণের সংখ্যা তুলনামূলভাবে কম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাল এলাকাগুলিকে কমলায় পরিণত করার জন্য রাজ্যগুলিকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং পরে ধীরে ধীরে সেগুলিকে সবুজ এলাকায় পরিণত করতে হবে।
কড়াকড়ি রেখে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় নামার অনুমতি দেওয়া হতে পারে, তবে বাস, ট্রেন. বিমানের মতো গণপরিবহণ নিষিদ্ধ রাখা হতে পারে।
বন্ধই রাখা হতে পারে স্কুল ও কলেজগুলি, এবং ধর্মীয় এবং কোনওরকম জমায়েত নিষিদ্ধ রাখা হতে পারে।
বৈঠকে উপস্থিত ৯জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে পাঁচজন লকডাউন তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন, বাকিরা লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে মত দেন।
লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন ওড়িশা, মেঘালয়, এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। একমাস কড়াকড়ি রাখার পক্ষে মতে দিয়েছে ওড়িশা।
বৈঠকের পর মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, “সবুজ এলাকাগুলি খোলা হবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড়ে মত রয়েছে, তবে লকডাউনের বিষয়টি চলবে। আমাদের উচিত মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মে অভ্যস্ত করা”।
বৈঠকে গড়হাজির ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন এবং রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন মুখ্যসচিব।
Post a comment