করোনা সতর্কতা অবলম্বনে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল খড়গপুর আইআইটি। (ফাইল ছবি)
কলকাতা: করোনা সতর্কতা (Coronavirus)) অবলম্বনে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল খড়গপুর আইআইটি (IIT-Kharagpur) আর শিবপুর আইআই(ই)এসটি। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব বিভাগের পঠনপাঠন। শনিবার আইআইটি-খড়গপুরের অধিকর্তা ভিকে তিওয়ারি বলেছেন, আবাসিক পড়ুয়াদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ক্যাম্পাসের বাইরে না বেরোতে। বড় জমায়েতে না থাকতে। যেসব আবাসিক পড়ুয়া ক্যাম্পাস ছেড়েছেন, তাঁদের বলা হয়েছে যতটা সম্ভব বাড়িতেই সময় কাটাতে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সব সেমিনার, সম্মেলন, ওয়ার্কশপ স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিন জানান ওই অধিকর্তা। এমনকি, নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও প্রস্থানের বিষয়টি ছাড়া হয়েছে। শনিবার স্পষ্ট করেছেন আইআইটি-কেজিপি'র অধিকর্তা। তবে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা অনলাইন ব্যবস্থার সাহায্য নিতে পারবেন। কিন্তু ৩১ মার্চ অবধি লাইব্রেরি পরিষেবা বন্ধ থাকবে, এদিন জানান ভিকে তিওয়ারি।
"আছি": ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা-লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির ডাকে সাড়া দিল পাকিস্তান
এদিকে শিবপুর আইআই (ই) এসটি ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ক্লাস সাসপেন্ড করেছে। শনিবার জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একমাত্র প্রয়োজন ছাড়া হস্টেল না ছাড়তে পড়ুয়াদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, যারা আবাসিক পড়ুয়া না, তাঁদের আগামী নির্দেশ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আসতে বারণ করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, ততক্ষণ অধ্যাপকরা প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস নিতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত পর্যালোচনা অধিকর্তার সঙ্গে কথা বলেই নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৪০-৪৫ বাংলাদেশিকে আটকে দেওয়া হল ভারতীয় সীমান্তে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্ক শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাময়িক সময়ের জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেই মতো রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিও আপাতভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে তাঁরা। পাশাপাশি বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া বাকি সব পড়ুয়াদের হস্টেল খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শঙ্কর মজুমদার একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, "ভারত সরকারের বিভিন্ন সংস্থার করোনা সতর্কতার নির্দেশের সঙ্গে মিল রেখে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বভারতীর অধীনে থাকা (পাঠ ভবনের হস্টেল সহ) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হস্টেল পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে"।
করোনা ভাইরাসকে “বিজ্ঞাপিত বিপর্যয়” ঘোষণা করল ভারত, দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ
৩১ মার্চ অবধি রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। করোনা সতর্কতা অবলম্বনে শনিবার এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব স্কুল। শুধু পর্ষদ অনুমোদিত পরীক্ষাগুলো (উচ্চমাধ্যমিক, আইসিএসই) সূচি মেনেই হবে। কিন্তু আগামী ৩১ মার্চ অবধি স্থগিত রাখা হল সব স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা। ৩১ মার্চের পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রী গিয়েছিলেন দিল্লি, আগ্রা
এদিন এমনটা জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা প্রতিরোধে হু, রাষ্ট্রসংঘ ও কেন্দ্রীয় সরকারের সতর্কবার্তা মেনে এই সিদ্ধান্ত। বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব সরকারি, বেসরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। একইভাবে খড়গপুর আইআইটি, সব ক্লাস সাসপেন্ড করে ছাত্রাবাস খালি করতে পড়ুয়াদের নির্দেশ পাঠিয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড রাখা হয়েছে ওই আইআইটি-র পঠনপাঠন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)