এবার আর করোনা (Coronavirus) আক্রান্তকে নিয়ে হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরতে হবে না। বাড়ি থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জেনে যে হাসপাতালে কোভিড-১৯ (COVID-19) চিকিৎসার বেড (Bengal Hospital COVID Beds) খালি আছে সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তত্ত্বাবধানে ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের (West Bengal Coronavirus) স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েবসাইট যেমন জানাচ্ছে বর্তমানে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্যে বরাদ্দ ১০,৩১৩ টি বেডের মধ্যে ৮,২২৫ টি বেড খালি রয়েছে। শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোই নয়, আজ (শুক্রবার) থেকে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলোও জানাবে কতগুলো করোনা চিকিৎসার বেড খালি আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নির্দেশ মতো সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলো মিলিয়ে ১,০০০টি বেড করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যে বরাদ্দ রাখতেই হবে।
জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ২৩ জুন পুরীর রথযাত্রায় "না" সুপ্রিম কোর্টের
দেশের ৪টি রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যে ঠিকমতো বন্দোবস্ত নেই, এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি ৩ রাজ্য হল দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু। এই ঘটনার পরেই তাই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালগুলোকে করোনা বেড সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে আপডেট করতে হবে, কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
যদিও রাজ্যে বহু মানুষই কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবু রাজ্যের বাড়তে থাকা করোনা রোগীর সংখ্যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে মমতা সরকারের। বাংলায় সুস্থতার হার ৫৪.৯৭ শতাংশ হলেও মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,২১৬ জনে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪৩৫ জন, আর মারা গেছে ১২ জন।
লাদাখ সংঘাত: প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী
"নিজের জন্য বেড খুঁজে পেতে একজন প্রবীণ চিকিৎসককে কলকাতার দশটি হাসপাতালে ঘুরতে হয়েছিল, এটা খুবই লজ্জার বিষয়", রাজ্যে করোনা চিকিৎসার জন্যে বরাদ্দ বেডের অপ্রতুলতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর সেই জন্যেই সরকারের তরফে তৎপরতা দেখানো হয়েছে। এবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোন কোভিড হাসপাতালে কতগুলি বেড খালি তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে, জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। এই বিপদের দিনে কোনও করোনা রোগী এলে হাসপাতাল তাঁকে ফেরাতে পারবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালকে করোনা ছাড়াও সমস্ত ধরনের রোগী দেখতে হবে বলেও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব।