হাজার বিরোধিতা সত্ত্বেও গোটা দেশকে ২১ দিনের জন্যে লকডাউন (Coronavirus Lockdown) করার সিদ্ধান্তে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (PM Narendra Modi) সমর্থন করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। একটি চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি (Sonia Gandhi) জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে এটি অত্যন্ত "ভাল পদক্ষেপ", এই বিষয়ে "সরকারকে সমর্থন করবে" কংগ্রেস। সনিয়া তাঁর ৪ পৃষ্ঠার চিঠিতে লেখেন, "কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসাবে, আমি বলতে চাই যে আমরা এই মহামারীর সংক্রমণ রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছি এবং আমরা সরকারকে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করব" । পাশাপাশি ওই চিঠিতে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বেহাল অর্থনীতিকে সামাল দিতে কিছু পদক্ষেপ করারও পরামর্শ দেন তিনি। "এই চ্যালেঞ্জিং ও অনিশ্চিত সময়ে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পক্ষপাতদুষ্ট স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দেশের এবং প্রকৃতপক্ষে মানবতার স্বার্থে নেওয়া পদক্ষেপকে সম্মান করা", লেখেন সনিয়া গান্ধি। তিনি লেখেন, কংগ্রেস দল এ ব্যাপারে সরকারকে "পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা" দেবে।
কংগ্রেস সভানেত্রী কেন্দ্রকে এই পরামর্শও দেন যাতে এই সঙ্কটের সময় দেশের সমস্ত ব্যাংকগুলি যাতে এএমআই দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার কথা বিবেচনা করে এবং এই সময়ের জন্যে অন্তত যাতে ব্যাংকগুলির তার জন্যে নির্ধারিত সুদ মকুব করে।
কাশ্মীরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃ্ত্যু, দেশে মোট মৃত ১৩
সনিয়া গান্ধি আরও বলেন, সরকারকে অবিলম্বে দিন মজুর, মনরেগা কর্মী, কারখানার শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষক এবং অন্যান্য দিন আনি দিন খাই গোছের কর্মীদের জন্যে "সরাসরি নগদ টাকা স্থানান্তর সহ সামগ্রিক সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত"। এছাড়াও কংগ্রেস সভানেত্রী এই সময়ে ১০ কেজি চাল বা গম বিনা মূল্যে রেশন কার্ডধারীদের বিতরণ করার পরামর্শও দেন।
সাংবাদিক সম্মেলন করবেন অর্থমন্ত্রী, বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার সম্ভাবনা
দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে করোনা ভাইরাসের কারণে। ব্যবসায়িক বিনিয়োগেও ভাঁটা বেশ কিছুদিন ধরেই। এছাড়াও ২১ দিনের এই লকডাউনের বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে দেশের অর্থনীতিতে। তাই দেশীয় অর্থনীতিকে চাঙা করতে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করুক মোদি সরকার, এমন কথাও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সনিয়া গান্ধি।
এখনও পর্যন্ত ভারতে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জন। প্রমাদ গুণছে সরকার থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই।