করোনা প্রতিরোধ: সংক্রমণ এড়াতে নাকে, মুখে চোখে হাত না দেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
হাইলাইটস
- যত বেশি সম্ভব হাত পরিষ্কার করুন
- করোনা উপসর্গ মনে হলে মুখোশ পড়ে নিন
- বারবার হাত ধোয়া করোনা সংক্রমণ এড়ানোর আদর্শ
উহান থেকে উৎপত্তি হয়ে এখন বিশ্বের ১২০টি ছড়িয়েছে করোনা (Wuhan Virus)। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত ও সংক্রামিতের সংখ্যা। ভারতে সংক্রামিতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংক্রমণ প্রতিরোধে (Preventive Measure) একাধিক পরামর্শ জারি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম ঘরোয়া টোটকা। একজন সংক্রামিতের নাক আর মুখ দিয়ে এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি সেই সংক্রামিত ব্যক্তি স্পর্শ করছে, এমন জায়গা থেকেও ছড়াচ্ছে করোনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু বলেছে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করতে। কারণ হাত অনেক কিছুকে স্পর্শ করে। সেই স্পর্শ থেকে সংক্রমণ হাতে চলে আসতে পারে। সেই হাত চোখে, মুখে বা নাকে দিলে, সেই মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস। আর আপনাকে অসুস্থ করে তোলে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, আপনি ঘণ্টায় ১৬-১৮ বার মুখে হাত দেন। সেই হাত এক ঘণ্টার মধ্যে নানা মাধ্যমকে স্পর্শ করে আসে। ফলে বাড়িয়ে তোলে সংক্রমণ মাত্রা। তাই মুখে, হাতের স্পর্শ এড়াতে কী কী করবেন, একবার দেখে নিন:
নির্ভয়া মামলার আসামির নতুন আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত
করোনা ভাইরাস: বারবার হাত ধুলে ভাইরাস সংক্রমণ দূর হয়।
সৌজন্য: আইষ্টকমুখে হাত দেওয়া বন্ধ করতে কী করবেন?
১. আপনার হাতকে সবসময় ব্যস্ত রাখুন
আপনার হাতকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখুন। যাতে সেই হাত মুখে না ওঠে। নরম বল হাতে নিয়ে পাম্প করতে পারেন। কিংবা হাতের সামনে এমন কিছু রাখতে পারেন যা আপনাকে ব্যস্ত রাখবে। সময়ে অসময়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলেও মুখে উঠবে না হাত।
করোনা আতঙ্কে ১০ দিনের ছুটিতে কমল নাথ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি
২. সবসময় সঙ্গে টিস্যু রাখুন
মুখ চুলকাতে বা নাক ঘষতে অনেকসময় মুখে হাত উঠে যায়। সেই পরিস্থিতি এড়াতে সঙ্গে টিস্যু রাখুন, যা আপনাকে ওই কাজগুলো করতে সাহায্য করবে। পড়ে নষ্ট করে ফেলুন সেই টিস্যু।
ব্যবহারের পরেই নষ্ট করে ফেলুন সেই টিস্যু। সৌজন্য: আইষ্টক
৩. মনে রাখবেন এই সংক্রমণ এড়ানো কতটা জরুরি
যখনই আপনি মুখে হাত দেবেন, এই ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা তত বাড়বে। তাই মনে রাখবেন এই সংক্রমণ এড়ানো কতটা জরুরি।
৪. যতটা সম্ভব হাত ধোবেন
বারবার হাত ধোবেন। প্রয়োজনে অ্যালকোহল যুক্ত হাত সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। কিংবা সাধারণ সাবান বা জল দিয়ে।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই পরামর্শ শুধুমাত্র তথ্যভিত্তিক। কোনও প্রকার মেডিক্যাল পরামর্শের বিকল্প কখনই না। সবসময় চিকিৎসক কিংবা নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করবেন। এই তথ্যের দায় এনডিটিভি নিচ্ছে না।