Read in English
This Article is From Jun 05, 2020

সব শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে আরও ১৫ দিন সময় পাবে কেন্দ্র-রাজ্য: সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং এমআর শাহ সেই তালিকা প্রসঙ্গে পাল্টা বলেছেন, "আমাদের কাছে তথ্য আছে মহারাষ্ট্র মাত্র একটা স্পেশাল ট্রেনের দাবি করেছে।"

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরাতে বিশেষ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল মন্ত্রক।

নয়া দিল্লি :

শ্রমিকদের (Migrant Labours) অন্য শহর থেকে নিজের রাজ্যে ফেরাতে আরও ১৫দিন সময় পাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। শুক্রবার এই মর্মে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা পর্যালোচনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার এই নির্দেশ দিল আদালত। এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল (Solicitor general) তুষার মেহেতা প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি তিন বিচারপতির বেঞ্চকে বলেছেন, "৩ জুন পর্যন্ত রেল মন্ত্রক ৪২২৮টি শ্রমিক স্পেশাল (Shramik Special Train) ট্রেন চালিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৭ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। ৪১ লক্ষ শরিক পথ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রায় এক কোটির বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরতে পেরেছেন।" তিনি দাবি করেন, "বেশিরভাগ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের গন্তব্য ছিল বিহার আর উত্তর প্রদেশ।" আদালতে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, কেন্দ্র একটা তালিকা তৈরি করছে। কতজন শ্রমিক ভিন রাজ্যে আছেন আর কত ট্রেন এখনও চালানো প্রয়োজন সেই হিসেব সেই তালিকায় উল্লেখ করা হচ্ছে। রাজ্যগুলোর তরফে তালিকা তৈরি হচ্ছে। 

এদিন বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং এমআর শাহ সেই তালিকা প্রসঙ্গে পাল্টা বলেছেন, "আমাদের কাছে তথ্য আছে মহারাষ্ট্র মাত্র একটা স্পেশাল ট্রেনের দাবি করেছে।" জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেছেন, "হ্যাঁ, মহারাষ্ট্র থেকে মোট ৮০২টি ট্রেন ছাড়া হয়েছে।" এই সওয়াল-জবাবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে, "আমরা আপনাদের ও রাজ্যগুলোকে ১৫দিন সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে সব পরিযায়ীদের ঘরে ফেরান। কেন্দ্রীয় স্তরে একটা তালিকা তৈরি হোক। কেন্দ্র কিংবা রাজ্য কীভাবে সেই শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও ত্রাণের আওতাভুক্ত করছে। পরিযায়ী নথিভুক্তকরণ চালু করা হোক।" 

পরিযায়ী শ্রমিকদের তরফে প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবী কলিন গঞ্জাল্ভেস বলেছেন, "রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে যে শ্রমিক পোর্টাল, সেটা অকেজো। ফলে নাম নথিভুক্তি করতে পারছেন না শ্রমিকরা। দুটি হাইকোর্ট এবিষয়য়ে তৎপর হতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত।" 

Advertisement

Advertisement